
গাজায় জায়োনিস্ট বাহিনীর অবিরত ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও আল-কাসসাম ব্রিগেডের নেতৃত্বে মুজাহিদিনরা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট গাজায় মুজাহিদদের পরিচালিত আক্রমণে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৪ ট্যাংক ও এপিসি ধ্বংস হয়েছে।
আল-কাসসাম ব্রিগেডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ আগস্ট রবিবার সকালে, মুজাহিদিনরা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরের পশ্চিমে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানটি শহরের আল-নাজলা এলাকায় একটি উচ্চ-বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে জায়োনিস্ট সৈন্যদের বহনকারী একটি এপিসি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে শত্রুদের বহনকারী যানটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং শত্রু বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে হতাহত সৈন্যদের সরিয়ে নিতে এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর ২টি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখা যায়।
এদিন মুজাহিদিনরা গাজা শহরের দক্ষিণে আল-জায়তুন এলাকায়ও একটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন। এলাকার দক্ষিণে অনুপ্রবেশকারী জায়োনিস্ট বাহিনীর সৈন্য এবং যানবাহনগুলোর একটি সমাবেশ লক্ষ্য করে মুজাহিদিনরা মর্টার শেল ব্যবহার করে আক্রমণটি পরিচালনা করেন।
এমনিভাবে শনিবার ৩০ আগস্ট, গাজা শহরের দক্ষিণে জায়তুন পাড়ার ৮ নম্বর স্ট্রিটে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীকে ২টি শেল দিয়ে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। মুজাহিদিনরা প্রথমে একটি “আল-ইয়াসিন ১০৫” শেল দিয়ে একটি “মেরকাভা” ট্যাঙ্ক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন, পরে একটি “শাওয়াজ” ইএফপি দিয়ে একটি D9 সামরিক বুলডোজার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন।
এর আগে ২৯ আগস্ট শুক্রবার, মুজাহিদিনরা গাজা শহরের দক্ষিণে, জায়তুন এলাকায় একটি শক্তিশালী স্থল বোমা ব্যবহার করে জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর সফল আক্রমণ চালান। জায়তুন এলাকার দক্ষিণে একটি স্কুলের পাশে জায়োনিস্ট সৈন্যদের বহনকারী একটি এপিসি যান লক্ষ্য করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। এতে শত্রু সাঁজোয়া যানটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাতে থাকা জায়োনিস্ট সৈন্যরা হতাহতের শিকার হয়। পরে হতাহত সৈন্যদের সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/jc9686f4
– https://tinyurl.com/34ausuev
– https://tinyurl.com/4c727tf6
– https://tinyurl.com/yahwa7bz


