
গত ২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার গভীররাতে কুনেইত্রা প্রাদেশিক এলাকার জুনবাতা আল-খাশাব শহরে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বাহিনী অনুপ্রবেশ করে সাতজন নিরস্ত্র সিরীয় যুবককে আটক করে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবরিয়া টিভি এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দখলদার বাহিনী রাতের আঁধারে একাধিক সামরিক যান ও ভারী অস্ত্রসজ্জিত সৈন্য নিয়ে প্রবেশ করে। এরপর নিরীহ নাগরিকদের ঘরবাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সাতজনকে ধরে নিয়ে যায়। আটককৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, আটক ব্যক্তিরা হয়তো দীর্ঘমেয়াদে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন—যেমনটি অতীতে বহুবার ঘটেছে।
দখলদার ইসরায়েলের এই আচরণ কেবল সিরিয়ার উপর হামলা নয়, বরং এটি নিরীহ মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নৃশংস দমননীতি।
এই ঘটনা এক গভীর বাস্তবতাকে সামনে আনে: পৃথিবীর মুসলমানরা আজও দখলদার শক্তির কাছে নিপীড়িত, আর ইসলামের শত্রুরা শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। এটি সেই একই ধারার অংশ, যেখানে ফিলিস্তিন, লেবানন কিংবা কাশ্মীরের মুসলমানরা বছরের পর বছর দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
কুনেইত্রায় সাত সিরীয় মুসলমানের আটক কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের একটি পরিকল্পিত দমননীতির বহিঃপ্রকাশ। দখলদার ইসরায়েল বারবার প্রমাণ করছে যে, তারা কোন প্রকার আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। পাশ্চাত্যের অন্ধ ও অবৈধ সমর্থনে আজ তারা দমননীতিকে বৈধতা দিতে চাইছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israeli army detains 7 Syrians in overnight raid on southwestern Syria town
– https://tinyurl.com/ycxeuf3v


