
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটি (UVU)-তে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন চার্লি কার্ক নামে এক আমেরিকান ইসলাম-বিদ্বেষী, প্রো-জায়োনিস্ট এক্টিভিস্ট আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে, কার্কের “American Comeback Tour”-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
চার্লি কার্ক তার ইসলাম-বিদ্বেষী এবং প্রো-জায়োনিস্ট এক্টিভিটির জন্য পরিচিত। আমেরিকায় ইসলাম ও মুসলিমদের অবস্থানের বিরুদ্ধে এবং অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে সে প্রতিনিয়ত প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেছে, এমনকি তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দুর্বৃত্ত ইসরায়েলের ব্যাপক মাত্রার গণহত্যার ব্যাপারে সে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে সেমিনার ও বিতর্কের আয়োজন করতো, যা আমেরিকানদের মনে ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতি জনসম্মতি উৎপাদনে ভূমিকা রাখতো। এছাড়া সে বিভিন্ন টকশো এবং পডকাস্টের মাধ্যমেও ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যা এবং দখলদারিত্বের পক্ষে মিথ্যা ন্যারেটিভ নির্মাণ করে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর ১০ দিন পর এক এক্স বার্তায় সে লিখে-
“গাজার নারী ও শিশুদের মৃত্যু হামাসের দোষ, ইসরায়েলের নয়; যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে মৃত্যুগুলো আমেরিকার নয়, বরং জাপানের দোষ ছিল। যখন কোনো সরকার অযৌক্তিক ও হত্যাযজ্ঞমূলক আগ্রাসনে লিপ্ত হয়, তখন এর ফলশ্রুতিতে যা কিছু ঘটে, তার জন্য দায়ভার সেই সরকারকেই নিতে হয়।”
চার্লি কার্ক নিহতের একদিন আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসলামকে আমেরিকার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এক এক্স পোস্টে নিজেরই একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে, “বামপন্থীরা ইসলাম নামক তরবারির সাহায্যে আমেরিকার গলা কাটতে চাচ্ছে।” এইসময় আমেরিকায় দৈনিক পাঁচবার আজানের বিরোধিতা করে সে।
এক্স পোস্টটির লিঙ্কঃ https://x.com/charliekirk11/status/1965281328108343507
চার্লি কার্ক আমেরিকায় গান-ভায়োলেন্স বা মারণাস্ত্র পরিবহনের বৈধতা দিতে ২০২৩ সালে একবার বিদ্রূপাত্মকভাবে বলেছিল:
“প্রতি বছর কিছু মানুষের গুলিতে মারা যাওয়া দুঃখজনক হলেও মূল্যবান, কারণ অন্তত আমরা (বাইবেলের) সেকেন্ড এমেন্ডমেন্ট বা দ্বিতীয় সংশোধনী (অস্ত্র বহনের অধিকার) ধরে রাখতে পারছি।”
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সন্ত্রাসী আমেরিকা ও ইসরায়েলের দুই প্রেসিডেন্টসহ বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এছাড়াও হোয়াইট হাউজ তার মৃত্যুতে আমেরিকার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে এবং মার্কিন হাউস স্পিকার জনসন চার্লি কার্কের মৃত্যুতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।
তথ্যসূত্র
– https://tinyurl.com/msdbjf7r
– https://tinyurl.com/wrfe2f5n


