
সম্প্রতি কিছু পক্ষপাতদুষ্ট মহল দাবি করেছে যে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার মন্ত্রণালয় ও অভিযোগ শোনার মন্ত্রণালয়) কর্মকর্তারা কাবুল শহরে বিনা কারণে নারীদের গ্রেফতার করেছে এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, এই প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন, বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সত্য বিকৃত করার একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
মন্ত্রণালয় জানায়, তারা নারীদের সকল শরিয়তসম্মত অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গত চার বছরে এই বিষয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, শুধু গত তিন মাসে ‘আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার ও অভিযোগ শোনার মন্ত্রণালয়’ ৩৮২টি মহিলা-সম্পর্কিত মামলা নিষ্পত্তি করেছে। এসব মামলার মধ্যে জোরপূর্বক বিবাহ, গার্হস্থ্য সহিংসতা, মোহরানা, উত্তরাধিকার, গৃহবন্দিত্বসহ নানা ধরনের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং নারীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে যে, ইসলামি শরীয়তের আলোকে হিজাব পরিধান নারীদের পবিত্রতা এবং নৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। হিজাবই সমাজকে অশ্লীলতা ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন মহলকে দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছে যে, প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তাদের অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যবহার করতে হবে, নিরপেক্ষতা ও যথার্থতার নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে এবং আফগানদের ইসলামি মূল্যবোধ এবং জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে, ‘আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার ও অভিযোগ শোনার মন্ত্রণালয়’ সমাজের সকল নাগরিকের, বিশেষ করে নারীদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো অবস্থাতেই কাউকে অন্যায়ভাবে কারও অধিকার লঙ্ঘন করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
তথ্যসূত্র:
1. اعلامیه
– https://tinyurl.com/4rxbc8as


