পাহাড়ি ঢলে এক বছর আগে ভেসে গেছে ব্রিজ, ভোগান্তিতে দশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ

0
45

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেল্লাখালি নদীর উপর আমবাগান–বাতকুচি ঘাটের ষ্টীল ব্রিজটি গত বছরের পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে। জনদুর্ভোগের এক বছর পার হলেও ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে রশিটানা নৌকাই এখন হাজারো মানুষের নদী পারাপারের ভরসা হয়ে উঠেছে। দ্রত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

সারেজমিনে গণমাধ্যমের রিপোর্টে দেখা যায়, চেল্লাখাল নদীর মধ্যে রয়েছে একটি কাঠের নৌকা। নৌকাটির দুই মাথা রয়েছে রশি দিয়ে বাঁধা। রয়েছে পারাপারের টাকা তোলার জন্য একজন কিশোর মাঝি। সাধারণ মানুষ নৌকায় উঠে কখনও নিজেরাই রশি টেনে পার হয়, আবার কখনও ওই কিশোর মাঝি রশি টেনে পার করে দেয়। জনপ্রতি ভাড়া নেয় পাঁচ টাকা। মাঝে মধ্যে রশি টানার মতো মানুষ না থাকলে শিশু শিক্ষার্থীসহ নারীরা এসে বসে থাকে। যখন রশি টানার মতো মানুষ আসে তখন তাদের সাথে তারা নদী পার হয়। নেই কোনো ঘাট। ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের নৌকায় উঠানামা করতে হয়।

উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে গেছে চেল্লাখালি নদী। এই নদীর দুই পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে হাটবাজার। যার একটি আমবাগান, অপরটি বারোমারী বাজার। আশেপাশের বাতকুচি, টিলাপাড়া, লক্ষিকুড়া, মেছকুড়া, তোয়ালকুচি, ছাইছাকুড়া, ধোপকুড়া সহ অন্তত দশ গ্রামের মানুষ এই দুটো বাজারে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে। অত্র এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই বাজারসহ আশেপাশের বাজারে বাজারজাত করে।

ব্রিজ থাকার সময় নদীর অপর তীরের কৃষকরা সহজে যাতায়াত করতে পারতো। গত বছরের পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রিজটি ভেসে যায়। এখন ব্রিজ না থাকায় ১০–১২ কিলোমিটার ঘুরে তাদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হয়। ফলে বেড়ে যায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য। যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগিদের।


তথ্যসূত্র:
১. পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, ভোগান্তিতে দশ গ্রামের মানুষ
– https://tinyurl.com/4npfptya

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাঁদা দাবির অভিযোগে শ্রমিকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ০৩
পরবর্তী নিবন্ধনিজামপুর কলেজ এলাকায় ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ০৫