
ভারতের আহমেদাবাদে ৪০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদের কিছু অংশ ভেঙে ফেলার অনুমতি দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। শহরের যানজট কমাতে আহমেদাবাদ সিটি কর্পোরেশন মসজিদের কিছু অংশ ভেঙে রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়। মসজিদ কমিটি এতে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। তবে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে আংশিক ভেঙে ফেলার অনুমতি দেয়।
২৪ সেপ্টেম্বর দ্য অবজারভার পোস্ট জানায়, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে উদ্যোগটি জনস্বার্থে নেওয়া হয়েছে। ফলে মসজিদ কমিটির দাখিল করা স্থগিতাদেশের আবেদন আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য। মসজিদ কমিটি যুক্তি দিয়েছিল, এটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ওয়াকফ সম্পত্তি। তাই এর ধ্বংস সংবিধানপ্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন হবে।
তবে বিচারপতি মৌনা এম. ভাট রায়ে জানায়, পৌর কমিশনার গুজরাট প্রভিন্সিয়াল মিউনিসিপাল কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন, যেখানে ওয়াকফ আইন প্রযোজ্য নয়।
এর আগে গুজরাটে পুরনো ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙাকে ঘিরে বিতর্ক হয়েছিল। গত বছর গির সোমনাথে ৫০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ, দরগাহ ও কবরস্থান ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সে সময় মুসলিম সমাজ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও আদালত হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে বৈধ বলে রায় দেয়।
মানসা মসজিদের আংশিক ভাঙনের রায়ের পর স্থানীয় মুসলিম সমাজে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Gujarat HC Allows Partial Demolition of 400-Year-Old Mansa Masjid for Road-Widening Project
– https://tinyurl.com/3hzv3njv


