সোমালিয়ায় আশ শাবাবের “অপারেশন নুসরাতুল মাজলুমিন”: শত্রু বাহিনীর অন্তত ৪১ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত , আহত ১৯

1
284

৪ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যায়, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর প্রাণকেন্দ্রে “গোদাকা জালিয়ো” নামক উচ্চ সিকিউরিটি কারাগার ও গোয়েন্দা দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকা মুজাহিদিন ও বেসামরিক নাগরিকদের মুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব আফ্রিকা আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন মোগাদিশু প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এক যুগান্তকারী অভিযান পরিচালনা করেন— যা “অপারেশন নুসরাতুল মাজলুমিন” – অর্থাৎ নিপীড়িতদের সাহায্যের জন্য অভিযান নামে অভিহিত হয়েছে। এটি সোমালিয়ায় আশ শাবাবের চতুর্থ বৃহৎ অভিযান।

আশ শাবাব মুজাহিদিনরা প্রথমে ইসতিশহাদি অপারেশনের মাধ্যমে উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা “গোদাকা জালিয়ো” —উচ্চ সিকিউরিটি কারাগার ও গোয়েন্দা দপ্তরে প্রবেশ করেন। মুজাহিদিনদের তীব্র ও অতর্কিত আক্রমণের ফরে শত্রু বাহিনীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আশ শাবাব মুজাহিদিন এমন সময় “অপারেশন নুসরাতুল মাজলুমিন” পরিচালনা করেন— যখন “গোদাকা জালিয়ো” এর ভিতরে সোমালিয়ার সবচেয়ে উচ্চ পদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবস্থান করছিল এবং তারা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি করছিল। আশ শাবাব মুজাহিদিনের ফিদায়ী মুজাহিদরা ইনগিমাসি হামলার মাধ্যমে “গোদাকা জালিয়ো” এর ভিতরে ঢুকে পুরো কেন্দ্র নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। শত্রু বাহিনীর সাথে শাবাব মুজাহিদদের প্রায় ১০ ঘন্টা যাবত চলমান লড়াইয়ে মুজাহিদরা আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করেন। আশ শাবাব মুজাহিদিনরা উক্ত কারাগার থেকে আটক হ‌ওয়া অসংখ্য মুজাহিদ ও বেসামরিক নাগরিকদের মুক্ত করেন, যারা দীর্ঘদিন এই ভূগর্ভস্থ কারাগারে বন্দি অবস্থায় অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। বন্দিদের মুক্ত করার পর তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করেন শাবাব মুজাহিদিনরা।

শাহাদাহ নিউজ এজেন্সির বরাতে জানা যায়, “অপারেশন নুসরাতুল মাজলুমিন” এ আশ শাবাব মুজাহিদিনদের শক্তিশালী হামলায় শত্রু বাহিনীর ৪১ জন উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে এবং ১৯ জন আহত হয়েছে — যাদের অধিকাংশই ছিল National Intelligence and Security Agency (NISA)— “জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা” -এর বিশেষ ইউনিটের কর্মকর্তা। শাহাদাহ নিউজের বরাতে আরো জানা যায়, মুজাহিদিন কর্তৃক উক্ত হামলায় শত্রু বাহিনীর ৯ টি সামরিক যান ধ্বংস হয় এবং তাদের কার্যালয় ও অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়।

হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন এক বিবৃতিতে ” অপারেশন নুসরাতুল মাজলুমিন” এর বিস্তারিত তথ্য জানানোর পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি উদ্ধৃত করেন:

وَقٰتِلُوْهُمْ حَتّٰي لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ لِلّٰهِ ؕ فَاِنِ انْتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ اِلَّا عَلَي الظّٰلِمِيْنَ

“আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা নির্মূল হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। সুতরাং তারা যদি বিরত হয়, তাহলে যালিমরা ছাড়া (কারো উপর) কোন কঠোরতা নেই।” (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত- ১৯৩)


তথ্যসূত্র:
https://tinyurl.com/4dsrba58

১টি মন্তব্য

  1. {قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ (14) وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ } [التوبة: 14، 15]

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরআন অবমাননাকারী অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’র হুঁশিয়ারি হেফাজতে ইসলামের
পরবর্তী নিবন্ধনর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআনের অবমাননা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ, ইচ্ছাকৃত এবং উস্কানিমূলক: জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান