
পুলওয়ামা জেলার বংগাম রাহমু এলাকায় দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে একটি তিনতলা মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) এই ঘটনাটি ঘটে।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার এই ভবনটি সকালের দিকেই আগুনে ঘিরে ফেলে। এই ঘটনায় কোনো মৃত্যু বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে মাদ্রাসার ভবনটি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা এই অগ্নিকান্ডকে মোদী সরকারের ইসলাম-বিরোধী অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন, এই অভিযানের লক্ষ্য মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করা। মোদি সরকার প্রায়ই মাদ্রাসার পরিচালকদের কাছে পুনর্নির্মাণের অর্থ কোথা থেকে আসছে তা জিজ্ঞাসা করে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা সৃষ্টি করে পুনর্নির্মাণ বন্ধ করে।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও একই কায়দায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। তারা বলছেন মুসলিমদের মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটানো হয়েছে। এর আগেও যেসকল মাদ্রাসায় আগুন লেগে ধ্বংস হয়েছে সেগুলো হল:
পুলওয়ামার প্যারিপোরার দারুল উলুম মাদ্রাসা।
বরামুলার বোনিয়ারের ইসলামী মাদ্রাসা।
শোপিয়ানের ইমামসাহিবের জামিয়া সিরাজ-উল-উলুম মাদ্রাসা।
শ্রীনগরের মাদ্রাসা সাল-সাবীল-উল-সালিম মাদ্রাসা।
একই ধরণের ঘটনার পুনারবৃত্তিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বিজেপি-আরএসএস সরকার ‘নিরাপত্তা’ ও ‘নিয়ন্ত্রণ’- নীতির এর দোহাই দিয়ে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির ধ্বংস করার পরিকল্পিত চেষ্টা করছে।
কাশ্মীরি মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন, শুধু ভবন ধ্বংস করাই নয়—’নিরাপত্তা’ ও ‘নিয়ন্ত্রণ’ এই নীতির উদ্দেশ্য মাদ্রাসাগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শ্বাসরোধ করা। প্রথমে ভবন পুড়িয়ে দিয়ে, তারপর জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্রের হ্যারাসমেন্ট করে পুনর্নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া।
তথ্যসূত্র:
1. Fire guts another madrassa in IIOJK amid fears of Hindutva regime’s campaign
– https://tinyurl.com/4rvnk34e


