
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এক হিন্দু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম, আজান, হিজাব ও মুসলিম নারীদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট ছাড়াও এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবন করিয়ে ধর্ষণ করার কথাও স্বীকার করেছে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বুয়েট ক্যাম্পাসে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। অভিযুক্তের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনি শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম শ্রীশান্ত রায় অংশুমান। সে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা ভিসি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আহসানউল্লাহ হলপাড়া ঘুরে ক্যাম্পাস গেটে গিয়ে শেষ করেন। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, ধর্ষক নো মোর’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শ্রীশান্ত রায়কে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। তাদের দাবির মুখে বুয়েট প্রশাসন গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইইই বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে পরের দিন (২২ অক্টোবর) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, বুয়েটের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা শ্রীশান্ত রায়ের ইসলাম ও মুসলিম নারীদের নিয়ে করা অশালীন, অবমাননাকর ও যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্যের বেশ কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
তথ্যসূত্র:
1. গভীর রাতে উত্তাল ঢাবি, বুয়েট শিক্ষার্থীর শাস্তি দাবি
– https://tinyurl.com/3rvzz3yd


