আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির বিভিন্ন অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বামাকোর জান্তা সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক আগ্রাশনগুলো, বিশেষ করে তুর্কি ড্রোন দ্বারা পরিচালিত হামলাগুলোর ফলে অসংখ্য নারী ও শিশু হতাহত হয়েছেন। এতে বেসামরিক নাগরিকদের বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং বেসামরিক ও যাযাবর সম্প্রদায়গুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হামলাগুলি টিম্বুকটু, মাসিনা এবং আরবিন্দার বিস্তৃত এলাকা, মারকালা, মিনহাগা খনি ছাড়াও দেশের উত্তরে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও বসতি, যেমন নকুজমা, ফারশ, আমলান, আরাতানে, তাঙ্গাটা, লেক এবং মাদজুকে প্রভাবিত করেছে। বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, এই হামলাগুলোতে কয়েক ডজন নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক শহিদ হয়েছেন, যা বাসিন্দাদের সামনে কোনো বিকল্প না রেখেই তাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে।
বিবৃতিতে প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম জান্তার হামলায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। এই ঘটনাগুলিকে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এবং গণহত্যায় জান্তার জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করে।
জেএনআইএম বিবৃতিতে মানবাধিকার এবং মানবিক সংস্থাগুলির পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিকেও অভিযোগ লঙ্ঘনের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে যে, তাদের কাছে হতাহতদের নাম এবং ছবিগুলির তালিকা রয়েছে এবং তারা নিরপেক্ষ মনে করে এমন যেকোনো সংস্থার কাছে তথ্য হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
জেএনআইএম রাজধানী বামাকোয় বসবাসরত সকল অংশকে – ছাত্র, শ্রমিক, জনসাধারণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের নীতি প্রত্যাখ্যান করতে এবং ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জেএনআইএম জোর দিয়ে বলেছে যে, দেশে একটি “ন্যায়সঙ্গত” সরকার প্রয়োজন, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং শরিয়াহ্ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে অধিকার এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার করবে।
সংগঠনটি সাহেল দেশগুলিকে, বিশেষ করে তুরস্ককে সমর্থনকারী সরকারগুলিকে, মালির সরকারের প্রতি তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই ধরনের সমর্থনের পরিণতির জন্য এই দলগুলিকে “নৈতিকভাবে দায়ী” বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিটি শেষ হয়েছে এই জোর দিয়ে যে, নিহতদের রক্ত মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত লঙ্ঘনের প্রমাণ হিসেবে থাকবে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মানবতার বিবেককে জাগ্রত করার জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
