
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গত মাসে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে কাতারের প্রত্যক্ষ অনুরোধে তা বাতিল করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
সে বলেছে, কাবুলের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জানতে পেরে হস্তক্ষেপ করেছে দোহা।
অপরদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার প্রসঙ্গে সে জানায়, বন্ধুপ্রতিম দেশ নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়, তবে কাতার এখন অসন্তুষ্ট, তারা মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয় নি।
সে দাবি করেছে, তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় ৪০০০ পাকিস্তানি সেনাকর্মী নিহত হয়েছে, আরও ২০ হাজারের অধিক আহত হয়েছে। যেখানে ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের মদদ রয়েছে বলে কোন প্রমাণ ছাড়াই সে ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের সাথে আনুষ্ঠানিক কোনও যুদ্ধবিরতি বিদ্যমান নেই বলেও সে তুলে ধরেছে।
উল্লেখ্য যে, আফগান ভূখণ্ড কোনও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকিস্বরূপ ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে আফগানিস্তানের অবস্থান একাধিকবার তুলে ধরেছেন ইমারাতে ইসলামিয়া সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অপরদিকে পাকিস্তানে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আফগান ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয় দেয়া হচ্ছে বলে ভিত্তিহীন দাবি করে যাচ্ছে পাকিস্তান।
ইতিহাস বিবেচনায় প্রতীয়মান হয় যে, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি দেশ হিসেবে এই অঞ্চলে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সব সময় তৎপর ছিল পাকিস্তান সামরিক শাসকগোষ্ঠী।
তথ্যসূত্র:
1. Pakistan says planned military action against Afghanistan was halted at Qatar’s request
– https://tinyurl.com/ymbek6hb


