
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে মুরগির মাংস ও ডিমের স্থানীয় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাদেশিক কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে কান্দাহারে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ডিম এবং ৬৫ হাজার কেজি পর্যন্ত মুরগির মাংস উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে বিদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমে গেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ হানিফ হাকমাল হাফিযাহুল্লাহ বলেন, “পাকিস্তান কর্তৃক বাণিজ্য পথ বন্ধ করে দেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে মুরগির মাংস, ডিম এবং পশুখাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে। আমরা এখন প্রতিদিন ৪ লাখ ডিম ও ৬৫ হাজার কেজি মুরগির মাংস উৎপাদন করছি। এতে আমাদের আমদানিনির্ভরতা অনেক কমেছে।”
সম্প্রতি আর্ঘান্দাব জেলায় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে একটি নতুন ডিম উৎপাদনকারী পোলট্রি খামার স্থাপিত হয়েছে। এই ফার্মটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ডিম। খামার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আঘা জানান, “একটি খামারেই প্রতিদিন ১ লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। আমরা পশুখাদ্য, ব্রয়লার মুরগি ও বাচ্চাও উৎপাদন করছি। কান্দাহারে ডিম, ব্রয়লার, পশুখাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদন খাতে মোট বিনিয়োগ এখন ১৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।”
পাকিস্তান থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে আসা ৩৭ বছর বয়সী রহমতুল্লাহ এই ফার্মে ডিম সংগ্রহ ও প্যাকেজিংয়ের কাজ করছেন। তিনি বলেন, “আগে পাকিস্তানে পোলট্রি ফার্মে কাজ করতাম। এখন নিজের দেশে কাজ করছি। আমাদের স্থানীয় পণ্য বিদেশি পণ্যের চেয়ে গুণগত মানে অনেক ভালো।”
কান্দাহার শহর, দামান, আর্ঘান্দাব, ঝাড়ি, খাকরেজসহ বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে বর্তমানে ১,২০০টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এসব খামার মুরগির মাংস, ডিম, পশুখাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদন করছে এবং উৎপাদিত পণ্য দেশের অন্যান্য প্রদেশেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
কান্দাহারে পোলট্রি খাতের এই অগ্রগতি স্থানীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আমদানি নির্ভরতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সার্বিক উন্নয়ন নীতির ধারাবাহিকতায় এই খাত আরও প্রসারিত হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
তথ্যসূত্র:
1. Kandahar Sees Rise in Chicken and Egg Production After Trade Route Closures
– https://tinyurl.com/2hz6wwx4


