
বিগত ৪ বছরে আফগান ভূমি অন্য কোন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ব্যবহৃত হয়েছে, এমন কোন অভিযোগ নেই।
গত ৩ ডিসেম্বর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন ইমারাতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল আফগানিস্তান ও এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি।
মৌলভী মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ আরও বলেন, পাকিস্তান ছাড়াও আফগানিস্তানের আরও ৫টি প্রতিবেশি দেশ আছে। চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের সাথে আফগানিস্তানের সীমান্ত সংযোগ আছে। তাদের সাথে আফগানিস্তানের বর্তমানে সর্বোত্তম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাদের সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমেই উন্নতি লাভ করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্য হয়ে তাদের সাথে বৈঠকে অংশগ্রহণ করে থাকে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের প্রতি পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে একটি অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে অথবা অপরের উপর দোষ চাপিয়ে দিতে কেউ কেউ কূটকৌশলে আগ্রহী হচ্ছে।
কিন্তু সারাবিশ্বে এখন এটি পরিষ্কার যে, আফগানিস্তানের কোন সমস্যা বা দোষ নেই। যদি তাই হতো তাহলে অন্যান্য প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো আফগানিস্তানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না কেন? এছাড়া আফগানিস্তানের নিজের দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, পুরো আফগান জাতি ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা ইস্যুতে আফগান রাজনীতিবিদ, আলেম, কৃষক, গবেষক, অধ্যাপক ও শিক্ষক, দেশে অবস্থানরত নাগরিক বা প্রবাসী, সকলেই ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের অবস্থানের প্রতি একমত।
পররাষ্ট্র নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতি-কেন্দ্রিক নীতি গ্রহণ করেছে। কেউ এই নীতির সমালোচনা করেন নি।
তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/5p92xbpz


