গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সরকারের প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ

0
153

একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে হিসেবে পাকিস্তানের সরকার ও কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের পরামর্শ হল, আপনাদের অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে, ভালো ব্যবস্থাপনা বা নীতি গ্রহণ করতে হবে, অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিতে হবে।

গত ৩ ডিসেম্বর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই কথাগুলো তুলে ধরেন ইমারাতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল আফগানিস্তান ও এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো আলোকপাত করে তিনি বলেন, বেলুচ নাগরিকদের সাথে পাকিস্তানের সমস্যা ৭৮ বছর ধরে চলে আসছে, এই সমস্যা পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই ছিল। আর টিটিপি সমস্যা ২০ বছরের অধিক সময় ধরে পাকিস্তানে বিদ্যমান আছে। এছাড়া পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে দেশের কারাগারে কয়েক বছর যাবত বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের কারাগার এখনও পুরোপুরি ভর্তি।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমাদেরকে টিটিপির ব্যাপারে অভিযুক্ত করেছে। আমরা এর জবাব দিয়েছি। অতঃপর তারা বেলুচ আন্দোলনের ব্যাপারে আফগানিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়েও জবাব দিয়েছি। তারপর তারা অভিযোগ করল, ভারতের সাথে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক। আমাদের নীতি স্বাধীন, যে কোন রাষ্ট্রের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অধিকার রয়েছে।

সীমান্ত সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘ ও ঐতিহাসিক সীমান্ত অঞ্চল সংক্রান্ত সমস্যা বল প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধান করা যাবে না। এগুলো কেবলমাত্র উপযুক্ত নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রতি জনগণের সমর্থন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডুরান্ড লাইনের উভয় অংশে একই সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে। কিন্তু আফগান অংশে কোন সমস্যা বা অস্থিতিশীলতা বিদ্যমান নেই।

বিগত সময়ে আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করে রাখা হয়েছিল, কারণ তখন সঠিক নীতি অনুসরণ করা হয় নি, বিদেশিদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি কর্ণপাত করা হয় নি।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যখন জনগণের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়, তখন সব কিছুই স্থিতিশীল থাকে।

সাম্প্রতিক সীমান্ত যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের মুজাহিদগণ চিন্তিত ছিলেন যে সাধারণ জনগণ সম্মুখ সীমা অতিক্রম করতে পারে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু তারা ভয় পায় নি। কারণ জনগণ নিজেই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে। যখন জনগণ আপনার পাশে দাঁড়াবে, তখন আপনার কোন ক্ষতি হবে না।


তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/mr27wj3v

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের দৃঢ় নিশ্চয়তা ছাড়া বাণিজ্য রুট খুলবে না ইমারাতে ইসলামিয়া
পরবর্তী নিবন্ধইমারাতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম