
ক্রমবর্ধমান খরা ও বন ধ্বংসের ঝুঁকি মোকাবিলায় ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার দেশজুড়ে বনাঞ্চল রক্ষা ও বনায়নের জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি, সেচ ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়। ইমারাতে ইসলামিয়া ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে অবৈধ গাছ কাটা ও চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শের মোহাম্মদ হাতামি জানান, বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রায় ২০ লাখ হেক্টর জমি বনাঞ্চলে আচ্ছাদিত, যা দেশের মোট আয়তনের ২.৮ শতাংশের বেশি। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবুজায়ন ও বন্য এলাকা সম্প্রসারণের জন্য ১০ কোটিরও বেশি চারা ও কলম রোপণ করা হয়েছে। চলতি বছরেই আরও ১ কোটি ৬০ লাখ চারা রোপণ করা হয়েছে।”
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, বন রক্ষায় সঠিক নীতি গ্রহণ করলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানো, বন্যা প্রতিরোধ এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মোহাম্মদ সুলাইমানখাইল বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। এখন যেহেতু কাঠ চোরাচালান অনেকটাই কমেছে, তাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বন পুনরুদ্ধারে কাজের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, তারা স্থানীয় পর্যায়ে বন সুরক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন সমিতি ও ‘গ্রিন ইউনিট’ গঠন করেছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সম্প্রদায়ভিত্তিক অংশগ্রহণ পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ প্রকল্পগুলো সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তথ্যসূত্র:
1. Afghanistan Takes Nationwide Steps to Protect Forests, Combat Deforestation
– https://tinyurl.com/4kybaym3


