
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে জান্তা বাহিনী ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জেএনআইএম মুজাহিদদের মধ্যে এক মাসের অঘোষিত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটেছে। ফলে জান্তা বাহিনীর উপর হামলার তীব্রতাও বেড়েছে।
আঞ্চলিক গণমাধ্যম ও ফ্রান্স-২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার ওয়াসিম নাসেরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ নভেম্বর থেকে মালির ক্ষমতাসীন জান্তা ও সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম’এর মধ্যে একটি অঘোষিত যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির অংশ হিসাবে জান্তা বাহিনীর জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত থাকে জেএনআইএম। সেই সাথে জেএনআইএম তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে জান্তা প্রশাসনের জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলিকে নিরাপদে রাজধানী বামাকো ও দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। জ্বালানি ট্যাঙ্কারের হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে জান্তা বাহিনী ১৪৫ জন জেএনআইএম যোদ্ধাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
চলতি ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ শুক্রবার ছিলো এই যুদ্ধবিরতির শেষ দিন, ফলে এদিন জেএনআইএম’এর শর্ত অনুযায়ী ফুলানী বংশের সাথে সম্পৃক্ত সর্বশেষ ৪৫ জন কারাবন্দীকেও মুক্তি দেয় জান্তা প্রশাসন।
শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার একদিন পর, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর শনিবার, জেএনআইএম পূণরায় জান্তার জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলি টার্গেট করতে শুরু করেন। এই ধারাবাহিকতায় জেএনআইএম যুদ্ধবিরতির পর জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলি লক্ষ্য করে শনিবার সকালে প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন বোগৌনির কাছে। প্রায় ২০০টি ট্যাঙ্কার নিয়ে ঘটিত উক্ত জ্বালানি কনভয়ে মুজাহিদদের হামলায় কয়েক ডজন জান্তা সদস্য হতাহত হয় এবং কনভয়ে থাকা শতাধিক জ্বালানি ট্যাঙ্কার ধ্বংস ও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/mrxh268f
– https://tinyurl.com/38pww33f
– https://tinyurl.com/4n96zk34


