রোকেয়া কি আসলেই নারী জাগরণের অগ্রদূত, নাকি মুসলিম ভূখণ্ডে ইসলাম বিদ্বেষের অন্যতম সূচনাকারী?

0
19

আল ফিরদাউস এর সম্পাদক মুহতারাম ইবরাহীম হাসান হাফিযাহুল্লাহ’র কলাম:

এদেশের সেক্যুলার মহল বেগম রোকেয়া কে নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে তাদের বয়ান ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে! কিন্তু বেগম রোকেয়া কি আসলেই মুসলিম নারীদের অগ্রদূত? নাকি ভিন্ন কিছুর কারণে সেক্যুলাররা তাকে এ পদবী দিয়েছে এবং প্রভুর আসনে বসিয়েছে?!

বেগম রোকেয়া একজন ওভার হাইপড, ইসলাম বিদ্বেষী, ব্রিটিশ স্লেইভ। সে ছিল ব্রিটিশদের কলোনিয়াল দাসী। এদেশের মুসলিম সমাজকে নিয়ে ব্রিটিশদের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সে ছিল অগ্রগামী সেবিকা! মুসলিম সমাজের রক্ষণশীলতার বিরোধিতাই ছিল তার লেখার মূল উপজীব্য! ইসলামের ফরজ বিধান – পর্দার বিরোধিতা করে লেখালেখি করেছে! সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে! সে ছিল শতাব্দীর অন্যতম ইসলাম বিদ্বেষী! তার ইসলাম বিদ্বেষের কারণে সেক্যুলার ও ইসলাম বিদ্বেষীরা তাকে নিজেদের প্রভুর আসনে বসিয়েছে!

তার কথা শুনে মুসলিম নারীরা কি আসলেই অগ্রগামী হচ্ছে?
তার লেখার বেশিরভাগই হলো- মুসলিম সমাজ ও পরিবারের দ্বীনদারী ও রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে! সে মুসলিম মেয়েদের কর্পোরেট স্লেইভ বানাতে চেয়েছিল!
সে দ্বীন ও ধর্মকে উপেক্ষা করে পশ্চিমা বস্তাপচা মতবাদের ধারক-বাহক হিসেবে কাজ করেছিল! সে মুসলিম মা বোনদের ধর্মীয় রক্ষণশীলতার বাইরে এনে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ও ধর্মীয় রীতিনীতি কে বিকৃত করার মতো গর্হিত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল।

নারী অধিকারের নামে, মুসলিম নারীদের পাশ্চাত্যের বস্তাপচা পাশবিক ফ্যামিলি কালচারে অভ্যস্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর দ্বীন তো পূর্ণ, এখানে নারীও তার পূর্ণ অধিকার পেয়েছে। তার আরও অগ্রগামিতার কি বাকি রয়েছে?

আজ ইসলাম বিদ্বেষী বেগম রোকেয়া কে নিয়ে যখন তার লেখার যৌক্তিক সমালোচনা করা হয় – তখনই কথিত সেক্যুলার সুশীল শ্রেণী তার তথাকথিত সম্মান রক্ষার্থে দুর্গন্ধ ছড়ায়! বিচারের দাবি তুলে (!)

অথচ এ ভূখণ্ডে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননায় কোনো সেক্যুলার, কোনো সুশীল “বিচার হবে কিনা দেখবো” বলে না, বরং আল্লাহ ও রাসুলের গালিদাতাকে যে কোনো মূল্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে, অন্যদিকে তাদের সুশীল আইডল ও আইকনদের ব্যাপারে যথোপযুক্ত ফতোয়া দিলেই বিচার বসিয়ে দেয়; মিডিয়া, রাষ্ট্রযন্ত্র, এবং তাগুতী প্রশাসনসহ সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজধানী মোগাদিশুর নাআনাআ সামরিক ক্যাম্পে শাবাবের ইস্তেশহাদী হামলা: অন্তত ৪৫ শত্রু সৈন্য হতাহত
পরবর্তী নিবন্ধআল ফিরদাউস বুলেটিন || ২য় সপ্তাহ, ডিসেম্বর ২০২৫ ||