যশোরের মনিরামপুরে গত শনিবার ২০শে জুলাই “ফাজায়েলে আমাল” আর “দুনিয়াবিমুখ শত মনীষী” বইসহ আরো কয়েকটি ইসলামী বইকে উগ্রবাদী বই ট্যাগ দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সংবাদ প্রচার হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টগুলো আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করছিলাম।
অনেকের কমেন্টই এমন ছিলো যে, জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাসের মত বইগুলোকে কীভাবে উগ্রবাদী বই হিসাবে র্যাব বলতে পারে? যদি জিহাদি কোনো বই হতো তাহলে হয়তো কিছুটা মেনে নেওয়া যেতো!
এই যে জিহাদ সংক্রান্ত বই নিয়ে নিজেদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতাটা সৃষ্টি হয়েছে, এটা কীভাবে হয়েছে বলতে পারেন? আপনারা হয়তো উক্ত নিউজ পড়ে হাসতেছেন যে ফাজায়েলে আমলকেও উগ্রবাদী বই বলা হচ্ছে। এটা কিন্তু ভাবছেননা যে যেকোনো বইকে উগ্রবাদী বই বলার কারণে জিহাদ সংক্রান্ত বইগুলোকে উগ্রবাদী বলে স্বীকার করানোটা সহজ হয়ে যায়।
এই জায়গাটাতেও তারা সাক্সসেস বা সফল। মুসলিমদের যেকোনো বইকে উগ্রবাদী বই নামে ট্যাগ দেওয়ার ফায়দাটা তারা পুরোপুরি লুফে নিচ্ছে। এখন আমি আপনি যে কেহই জিহাদি বইকে, উগ্রবাদী বই হিসাবে যেভাবেই হোক মেনে নিচ্ছি। এখন এমনভাবেই ইসলামিস্টদের মাঝেও জিহাদি বইকে জঙ্গী বই হিসাবে মেনে নেওয়ার মেন্টালিটি পয়দা করছে এই বাহিনী এবং তাদের অনুচর মিডিয়া।
খুব সূক্ষ্মভাবে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত।ইসলাম ধর্মের যেকোনো বইকে উগ্রবাদ ট্যাগ দিয়ে দেওয়ার কারণ হলো যেন মুসলিমরা নিজ থেকেই জিহাদ সংশ্লিষ্ট বইগুলোকে উগ্র বই হিসাবে মেনে নেয়। আর আমরা এই ফাঁদেই পড়েছি!
মুরব্বীরা কি এর কোন প্রতিবাদ করবেন! মুখ বুঝে বসে থাকতে থাকতে একসময় বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদসহ পবিত্র কোরআনুল কারীমকেই উগ্রবাদী বই বলে চালিয়ে দেওয়া হবে! নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক।
মাওলা, অনিচ্ছা সত্যেও তোমার বিধানের অস্বীকারকারী বানিয়ে কবরে নিওনা।
লেখক: মুহাম্মদ বিন কাসিম।
সরকারি ভিক্ষার টাকায় এবার হজে যাচ্ছে আমাদের কওমি অঙ্গনের বড় বড় আকাবির‼
এ ব্যপারে লেখা চাই৷
জিহাদি বইকে উগ্রবাদী বই বলবে কেন?
জি, এই লেখাতে সেটাই বলা হয়েছে। তাগুতরা জিহাদী বইকে উগ্রবাদী বই হিসেবে বৈধতা দেওয়ার জন্যই এই ধরণের কার্যক্রম করে।