ভারত তার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করলেও কোন শুল্ক বা ট্রানজিট ফি দিতে হবে না। শুধু নামকাওস্তাতে প্রশাসনিক ফি দিতে হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে এই পণ্য আনা-নেওয়ার পরীক্ষামূলক কাজটি শুরু হচ্ছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের জাহাজ চলাচল বিষয়ক আন্ত:সরকার কমিটিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী বৈঠকটি শেষ হয়।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ মালাউন গোপাল কৃষ্ণ সাংবাদিকদের ব্রিফ করে।
আব্দুস সামাদ বলেছে, জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ এন্ড ট্রেড অনুযায়ী ভারতকে কোন কাস্টমস ডিউটি ও ট্রান্সশিপমেন্ট চার্য দিতে হবে না।
তবে সড়ক পরিবহনের অতিরিক্ত কিছু প্রশাসনিক ফি দিতে হবে। এর বিনিময়ে তারা পণ্য পরিবহনের অনুমতি পাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে প্রশাসনিক ফি কত হবে সে বিষয়টি এখনো হিসাব করা হয়নি। দেশের প্রধান দুই সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার জন্য এটা দিতে হবে।
সে জানায়, জানুয়ারিতে দুই বন্দর ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক ট্রানজিট শুরু হওয়ার পর প্রশাসনিক ফি নির্ধারণ করা হবে।
আলোচনার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতীয় সচিব গোপাল কৃষ্ণ বলেছে যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার মতো কিছু বিষয় এখনো শেষ করা হয়নি।
বাংলাদেশকে দুটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দিতে ভারত চাপ দিয়ে ২০১৫ সালের ৬ জুন একটি এমওইউ সই করার জন্য ভারতঘেষা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধিন সরকারকে রাজি করাতে সফল হয়। ২০১৮ বছর ২৫ অক্টোবর এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়।
গত ৩-৬ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া দিল্লি সফরে গেলে বাংলাদেশের দুই সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) সই হয়।
ভারত ২০১৬ সালের জুন থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মালামাল পরিবহনের সুবিধা ভোগ করে আসছে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে রিভার প্রটোকল সই হয়।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর