সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে ২৫ এরও অধিক মুরতাদ নিহত এবং ৩৯ এরও অধিক আহত হয়েছে।
আল-কায়েদা সোমালিয়ান শাখা হারাকাতুশ শাবাব
মুজাহিদিন এর “প্রেস অফিস” গত মঙ্গলবার রাজধানী মোগাদিসুতে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে সরকারী হোটেল “এসওয়াইএল” -এ আল-কায়েদা যোদ্ধাদের আক্রমণ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
উক্ত বিবৃতিটি আরবি অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে হারাকাতুশ শাবাব এর সহকারী “শাহাদাহ” সংবাদ সংস্থা।
হারাকাতুশ শাবাব এর সম্মানিত মুখপাত্র “শেখ আবদেল আজিজ আবী মুসআব” হাফিজাহুল্লাহ্ এর স্বাক্ষরিত উক্তি বিবৃতিটিতে বলা হয়- গত মঙ্গলবার সন্ধ্যারত ৬:৪০ মিনিটের সময় রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে অবস্থিত সরকারি একটি কমপ্লেক্সে মুজাহিদিনরা হামলা চালান। প্রথমে কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে মুরতাদ রক্ষীদের হত্যা করা হয়। তারপরে এক মুহুর্তেই মুজাহিদিনরা কমপ্লেক্সের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সরকারী কর্মকর্তাদের অনুসরণ করতে করতে উপরের তলায় পৌঁছে যান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: “ধর্মত্যাগী মিলিশিয়ারা মুজাহিদদের হামলা বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়।
হামলার ফলাফল সম্পর্কে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে: “কমপ্লেক্সটিতে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা মুজাহিদদের অব্যাহত
অভিযানের ফলে উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার, রাষ্ট্রপতি গার্ড, সরকারী কর্মচারী এবং গোপন গোয়েন্দা এজেন্টসহ ২৫ এরও বেশি মুরতাদ সদস্য মারা যায়। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সদস্য মুরতাদ তুর্কি মিলিশিয়ায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কমপিউন্ডে অভিযান শেষ করে ফেরার পথে মুজাহিদিনরা আরও ১৩ মুরতাদ সদস্যকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: “হামলায় কমপক্ষে 39 শত্রু আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী, সরকারি প্রতিনিধি এবং সাসরিক বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উপসংহারে বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “সোমালিয়া ও মুসলিম ভূমিগুলো ক্রুসেডারদের দখল থেকে মুক্ত না হওয়া এবং ইসলামী শরিয়া সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ না করা পর্যন্ত মুজাহিদিনরা ধর্মত্যাগ (মুরতাত) ও তাদের কাফের মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।”
পরিবর্তে, স্থানীয় সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে যে রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের নিকটে সরকারী হোটেল “এসওয়াইএল” -এ মুজাহিদদের হামলার সময় ২৫ মুরতাদ সদস্য নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আদালতের বিচারক আবদেল কাদের, ওমর আবদেল, কয়েকজন প্রাক্তন ও বর্তমান সংসদ সদস্য, সোমালিয়ার পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা, “ফুয়াদ আগাস ইয়াকুব” সমুদ্র বন্দরের মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা “আবদুল গণি ওমর মাহমুদ”, রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ বাহিনীর সেনাপতি “মাহমুদ ইসমাইল মফক” এবং বিশেষ পুলিশ হিসাবে পরিচিত হারারাড এর “লিবিয়ান নূর” এবং সুরক্ষা ও গোয়েন্দা পরিষেবা ওয়াইয়ের এক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপতি প্রাসাদের পাহারা দায়িত্বরত মুরতাদ সদস্য ছাড়াও আরো অনেক সামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী “আবদুল কাদির আলী ওমর” এবং “মাহমুদ আলী মুকান” সোমালি সংসদের সদস্য “জিসাদি” সহ 39 জন আহত হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও হারাকাতুশ শাবাব সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্গে তাদের লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষমতা এবং রাজধানীর সুরক্ষা দৃশ্যের উপর তাদের অবিচ্ছিন্ন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আর এটি দেশটির মুরতাদ ও আমেরিকান নীতির ব্যর্থতাও নিশ্চিত করে, কেননা তারা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে মুজাহিদদের আক্রমণ চালানো থেকে নিজেদেরকে রাক্ষা করতে পারে নি।
লক্ষণীয় বিষয় যে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের মিডিয়া শাখা “কাতাইব ফাউন্ডেশন” এর আগে “কুফ্ফার লিড়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই 3” শীর্ষক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, এতে সরকারী হোটেলগুলিকে টার্গেট করার কৌশলটি স্পষ্ট করা হয়েছে, এবং তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যবস্তু রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তথাপিও এই কুফ্ফার বাহিনী মুজাহিদদের হামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেনি।