গত ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী মোতাবেক ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ঈসায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় “বুরকিনসা” এলাকা থেকে আগত জালিম ও মুরতাদ বুরুকিনা-ফাসো আর্মির একটি পেট্রোল দল সওম প্রদেশের অন্তর্গত কিছু মুসলিম গ্রামে ব্যাপক আকারে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালানোর সময় এই জালিম ও মুরতাদ বাহিনী চরম বর্বরতার সাথে স্থানীয় অধিবাসীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং আল-ফুলান গোত্রের ৭০ জন নিরস্ত্র ও নিরপরাধ মুসলিম ভাইকে হত্যা করে।
যার ফলে উক্ত অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীরা আগ্রাসী মুরতাদ বুরুকিনা-ফোর্সের হিংস্রতা রুখতে দেশটিতে অবস্থানরত আল-কায়েদা শাখা “নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (JNIM)” এর মুজাহিদদের কাছে সাহায্য কামনা করেন। মুজাহিদরা এই সংবাদ পাওয়ার পরেই মুরতাদ বাহিনীর উপর হামলার প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
এর ফলশ্রুতিতে সওম প্রদেশের আলালী গ্রামে আগ্রাসী মুরতাদ বুরুকিনিয়ান বাহিনীর সাথে মুজাহিদদের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যার ফলাফল হচ্ছেঃ
১। মুরতাদ বুরুকিনিয়ান বাহিনীর হাতে বন্দী তিনজন স্থানীয় অধিবাসীকে মুক্ত করা হয়েছে।
২। খোদ বুরুকিনা-ফাসো আর্মি তাদের ১১ যোদ্ধার নিহতের এবং অনেক সৈন্যদের আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও হতাহতের বাস্তব সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি।
৩। এছাড়াও মুজাহিদরা নিম্নোক্ত গনিমতগুলো অর্জন করেছেনঃ
-বহু গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
-দুটি ভারী DUSHKA (DShk) যুদ্ধাস্ত্র।
-দুটি PIKA যুদ্ধাস্ত্র কিটস।
-৪টি আরপিজি লাঞ্চার।
-২৮টি এ্যাসল্ট রাইফেল।
এবং ৩৬ বাক্স Dushka অস্ত্রের গোলাবারুদ এবং অন্যান্য অস্ত্রসমূহের ব্যাপক গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেছেন মুজাহিদগণ। আলহামদুলিল্লাহ।
বিপরীতে উক্ত যুদ্ধে একজন মুজাহিদ ভাই শাহাদাতবরণ করেন (আমরা ভাইয়ের ক্ষেত্রে এমনটাই ধারণা করি)।