আজকে এক ভাইয়ের কথা শুনলাম। মাদ্রাসায় চাকরি করে, কয়েক মাসের বেতন তো আগে থেকেই বাকি। তিনি এখন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কাছে বেতন চাইলে বলা হয়, বেতন মাদ্রাসা খোলার পরে দিবে। আর মাদ্রাসা বন্ধ থাকাকালীন মাসের কোন বেতন দেয়া হবে না। বেচারা তারপর স্ত্রীর হাতের চুরি নিয়ে বিক্রি করতে গেলে দেখে দোকান বন্ধ!
সত্যি কথা বলতে এরকম অবস্থা তো আমার কাছে আসা শুধু এই ব্যক্তির একার না, বাস্তবতা তো হলো আমাদের মুষ্টিমেয় কিছু প্রাইভেট কওমি মাদ্রাসা বাদ দিয়ে সবার এই একই দশা!
আমাদের উচিত আমাদের মক্তব, হেফযখানা এবং কিতাব বিভাগের যে উস্তাদগণ আছেন, তাঁদের খোঁজখবর নেয়া। পারলে এলাকার হুজুরদেরও খোঁজ নেওয়া। আর, সবাইকে দোয়ায় স্বরণ রাখা।
আওয়ামী লীগ নিজেদের দিচ্ছে, অন্য দলেরাও নিজেদের দিচ্ছে, কিন্তু বেফাকুল মাদারিস, হাইয়্যাতুল উলইয়াহ!?
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ এই কর্তৃপক্ষ নিজেদের ফান্ড থেকে এ বছরের পরীক্ষার টাকা দান করে পরীক্ষা সংক্ষেপ করুক। কমপক্ষে সকল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করুক, দরিদ্র উস্তাদদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। করতে চাইলে কিন্তু অনেক কিছুই করা যায়।
লেখক: উসামা, আল-ফিরদাউস নিউজের সম্মানিত পাঠক।