গত ১৫ ই মে শুক্রবার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ৭২ তম বার্ষিকীতে নাকাবা বা বিপর্যয় দিবসে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে এর সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে বিতাড়িত করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
অবৈধ রাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ দিনটিকে নাকাবা বা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করেন ফিলিস্তিনিরা। এ উপলক্ষে ফিলিস্তিনিরা দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন এবং তাদের সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে তারা নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ফিলিস্তিনের বিক্ষোভকারী এক ব্যক্তি বলেন, নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত আমাদের পূর্বপুরুষরা বলেছেন, আমরা যেন কখনো নিজেদের ভূমিটুকু বিক্রি করে না দেই এবং এ ভূমিতে ফিরে আসার তৎপরতা যেন কোনোদিন বন্ধ না করি। তিনি আরও বলেন, আজও আমাদের সন্তান ও নাতিপুতিদের একই কথাই বলছি আমারা। অধিকৃত ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা ১৯৪৮ সালে বিতাড়িত শরণার্থীদের তাদের নিজ বাস্তুভিটায় ফিরে যাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
১৯৪৮ সালে কুখ্যাত ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতায় ইহুদিবাদীরা প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি গ্রামকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলে। আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে জীবনযাপনকারী প্রায় ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি। এখনও তারা তাদের বাপ-দাদার ঘর-বাড়িতে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন একটি মুক্ত ফিলিস্তিনের।
তবে,বিশেষজ্ঞ আলেম ওলামা ও গবেষকদের মতে ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য কেবল মিটিং মিছিল নয় বরং বিশ্ব মুসলমানদের একত্রিত হয়ে কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমকেই মুক্তির পথ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া অন্য পন্থায় আন্দোলন কেবল দীর্ঘ লাঞ্ছনা বাড়াবে।