ঘূর্ণিঝড় আমফান ও গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসে পদ্মা-যমুনা তীরবর্তী পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ায় স্থানীয়রা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আরিচা ঘাটে কাছে যমুনার ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার প্রকল্প বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করবে বলে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। অপরদিকে, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদিক বুধবার সকালে পাটুরিয়া ঘাটের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে ভাঙ্গন রোধে প্রকৌশল বিভাগকে তাৎক্ষনিক কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, আমফানের প্রভাবে পদ্মা পাড়ের পূর্বাংশে স্পর্শকাতর পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে পাটুরিয়ার ৩, ৪ ও ৫ নং ফেরি ঘাট এলাকা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া, যমুনা তীরের আরিচার উত্তরের নিহালপুর থেকে দক্ষিণের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গনে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক সৃস্টি হয়েছে। আরিচা ঘাটের কাছে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি মওসুমে মোটা টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম চালালেও তাতে কোনো ফলপ্রসু হয়নি। এতে নদী ভাঙ্গন আরোও তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে স্থানীয়রা নানা মন্তব্য করছে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানান, সংস্থার চেয়ারম্যান ও চিফ ইঞ্জিনিয়র মহোদয়ের তাৎক্ষনিক নির্দেশ মোতাবেক জরুরী ভিত্তিতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব হবে।
সংস্থার চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের আরোও জানান, স্পর্শকাতর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঘাট সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। তাই জরুরী ভিত্তিতে পাটুরিয়ার ৩টি ঘাট মেরামতের কাজ চলছে।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, যমুনা তীরবর্তী আরিচা এলাকায় ভাঙ্গন রোধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জিও ব্যাগ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের গতি ও পরিধি বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। নয়া দিগন্ত