রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিত হওয়ার পর মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের রাজনৈতিকসংশ্লিষ্টতা নিয়ে সরগরম রয়েছে বিভিন্ন অঙ্গন। সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির গত কমিটিতে সদস্য ছিলেন- এমন খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তোলপাড়।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে থাকা সাহেদ করিমের ছবি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
দলের আন্তর্জাতিক উপকমিটির বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দেখা গেলেও তিনি যে সদস্য ছিলেন এ খবরটির সত্যতা স্বীকার করছেন না কেউ। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য সচিব শাম্মী আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘উপকমিটির জন্য দলের সভাপতির সম্মতি বা স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে। গত কমিটিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করেননি। ফলে এটাকে অ্যাপ্রোভাল কমিটি বলার সুযোগ নেই। এছাড়া সদস্য হিসেবে আমরা তার নামে কোনো চিঠিও ইস্যু করেনি। আর বর্তমান কমিটি তো এখনো হয় নাই।’
শাম্মী আহমেদ আরও বলেন, ‘কখনো তাকে সভা-সেমিনারে আমন্ত্রণ করা হয়নি। হয়তো কখনো কারও সঙ্গে এসেছেন সেমিনারে। কারও সঙ্গে এলে তো তাকে বের করে দিতে পারি না। আর ছবি তো কতজনই উঠায়, সব কী আর খেয়াল রাখা যায়?’ আন্তর্জাতিক উপকমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির আমাদের সময়কে বলেন, ‘বেশকিছু সভা-সেমিনারে সাহেদ করিমকে দেখা গেছে।’
এদিকে সাহেদ ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। গণমাধ্যমেও আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক উপকমিটির বিভিন্ন সেমিনারে যোগাযোগ শেষে উপকমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বক্তব্যও দিয়েছেন। তবে কখনো উপকমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। আমাদের সময়