লক্ষীপুরের রায়পুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেটর না থাকায় একমাত্র এক্স-রে যন্ত্রটি প্রায় ১৬ বছর ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে রোগীরা স্বল্পমূল্যে সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অপারেটর নিয়োগের বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একাধিকবার জানালেও ১৬ বছরেও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে যন্ত্রটির অপারেটর ২০০৪ সালে বদলি হয়ে গেলে এটি বন্ধ রাখা হয়। অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি ঢাকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে নিয়োগের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। এতে গত ১৬ বছর ধরে যন্ত্রটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ থাকায় বর্তমানে যন্ত্রটির অনেকস্থানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
প্রতিদিন কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে সেবা নিতে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীকে এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একবার এক্স-রে করতে খরচ হয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খরচ হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে জানানো হয়েছে। তবে কবে নিয়োগ করা হবে তা বলা মুশকিল।
বিডি প্রতিদিন