কোনো কারণ ছাড়াই চীনের হাইনান দ্বীপের সানয়া শহরে বাসকারী উতসুল মুসলিমদের স্থানীয় স্কুল ও সরকারি অফিসে ধর্মীয় পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ করেছে চীনা সরকার। ফলে মুসলিমরা হিজাব বা নিকাব পরিধান করতে পারবে না। সানয়া জিংজিয়াং থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো।
চলতি মাসের শুরুতে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে উতসুল অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। চীনের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে ‘তিয়ানয়া উতসুল প্রাইমারি স্কুলে’র বাইরে একদল মেয়ে হিজাব পরে পাঠ্যপুস্তক পড়ছে এবং পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উতসুল সমাজকর্মী বলেন, ‘প্রশাসনিক আদেশ হলো কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী স্কুলে তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করতে পারবে না। কিন্তু সানয়াতে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্মীয় পোশাক পরিধান করে না। সুতরাং এ আদেশে তাদের কিছু যায় বা আসে না। আমাদের বিষয়টি ভিন্ন। হিজাব মুসলিম সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। হিজাব খোলা মুসলিমদের জন্য ‘উলঙ্গ’ হওয়ার মতো।’
কমিউনিস্ট পার্টির একটি নথি গত বছর ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে’র হাতে আসে এবং তা যাচাই করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘একটি সম্মিলিত প্রচারণার সর্বশেষ ধাপ হলো সিনসিজমের যেসব মুষ্টিমেয় পাড়ায় উতসুলরা বসবাস করে, খায় ও প্রার্থনা করে সেখানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।’
চার পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন থেকেও উতসুলদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়। যার শিরোনাম ‘ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট রিগার্ডিং দ্য স্ট্রেংদেনিং অব ওভারঅল গভর্ন্যান্স ওভার হুইসিন অ্যান্ড হুইহুই নেইবারহুড’। সানয়ার বেশির ভাগ অধিবাসী মুসলিম হওয়ার পরও এখানে শুধু দুটি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট পার্টির এক নথিতে নির্দেশনা রয়েছে যে, ‘সমস্যা’র সমাধানে কর্তৃপক্ষ মুসলিম পাড়াগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করবে এবং ধর্মীয় ও আরব স্থাপত্যের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। মসজিদগুলো পুনর্নির্মাণের সময় ছোট করা হবে এবং তা ‘আরবীয় স্থাপত্যরীতি’তে নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হবে। এমনকি দোকানের সামনে চীনা বর্ণে ‘হালাল’ ও ‘ইসলামিক’-এর মতো মুসলিম পরিভাষা সরিয়ে ফেলা হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা
চীনা কমিউনিস্ট কুকুরদের ধ্বংস হোক।
আল্লাহ আমাদের মুসলমানদের হেফাজত করুক।