আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশে মুরতাদ কাবুল বাহিনীর উপর ভারী হামলা চালাচ্ছে তালেবান মুজাহিদিন। এখন পর্যন্ত তালেবানের হামলায় ১০০ এরও অধিক কাবুল সরকারের কমান্ডো ও সৈন্য নিহত হয়েছে।
বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশের বহরাক জেলায় কাবুল সরকারের কমান্ডো ও সেনা ঘাঁটিগুলোতে তীব্র হামলা চালাতে শুরু করে তালেবান মুজাহিদিন। তালেবানদের এই অভিযান অল্পসময়ের মধ্যেই ভারী লড়াইয়ের রূপ নেয়। বহরাক জেলার স্পিন জোমাত এলাকায় এই অভিযান সবচেয়ে বেশি বিস্তৃতি লাভ করলে কাবুল বাহিনীর কয়েক ডজন কমান্ডো নিহত হয়।
দেশটির ‘আযম টিবি’ একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, এই হামলায় নিহত হওয়া প্রাদেশিক সিকিউরিটি চিফসহ ২৫ কমান্ডো সেনার লাশ তারা এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আনতে সক্ষম হয়েছে। সূত্রটি আরো জানায়, নিহতের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে, কেনানা অল্প কিছু লাশই এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আনা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কাবুল সৈন্যদের স্বজনরা দেখায় যে, এই লড়াইয়ে নিহত হওয়া ৮০ জন সেনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। যাদের মাঝে ৪৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি। হামলার তীব্রতা এতটাই কঠিন ছিলো যে, অধিকাংশ সেনাকেই চেহারা দেখে চিনা যাচ্ছে না।
এদিকে তালেবান সমর্থক মিডিয়া ও গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে যে, তালেবান মুজাহিদদের এই বীরত্বপূর্ণ অভিযানে এখন পর্যন্ত কাবুল বাহিনীর ১০০ এরও বেশি কমান্ডো ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে কাবুল বাহিনীর অনেক সামরিকযান, যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ।
সর্বশেষ তালেবান মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তাঁর এক টুইটবার্তায় এই অভিযানের দায় স্বীকার করেন, তবে তিনি নিহত সৈন্যদের কোন সংখ্যা উল্লেখ করেননি। তিনি তাঁর উক্ত বার্তায় বলেন যে, ‘বহরাক জেলার মসজিদ সাফিদ এলাকায় কাবুল বাহিনীর সাথে একটি ভারী যুদ্ধ হয়েছে তালেবান মুজাহিদদের। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উক্ত এলাকায় মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছিলো এসকল কমান্ডো সৈন্যরা। পরে গত রাতে মুজাহিদদের সাথে কাবুল বাহিনীর লড়াই তীব্র আকার ধারণ করে। যার ফলে কাবুল বাহিনী অনেক কমান্ডো ও সেনা সদস্য হতাহত হয়েছে।