গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী হাটে যাওয়ার পথে মতিয়ার শেখ (৪৫) নামে এক পাট ব্যবসায়ীকে পথরোধ করে ব্যাপক মারধর করে স্থানীয় ডাকাতচক্র। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই ব্যবসায়ীর সর্বস্ব ছিনতাই করে অর্ধমৃত ও উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
স্থানীয়রা জানান, এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোনকারী, বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করে। তারপর তারা সংঘবদ্ধ অবস্থায় ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রয়োজনে হামলা করে সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাদী মতিয়ার শেখ বাটিকামারী হাটে পাট কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে শেষ রাতের দিকে রওনা হন৷ পথে তার প্রতিবেশী এবং ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য মোস্তফা ফকির ওরফে মোস্ত ফকির, জাকির ফকিরসহ ৩/৪ জন বাদীকে পথরোধ করে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ডাকাতরা তাকে মৃত ভেবে পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে চলে যায় এবং তার কাছে থাকা তিন লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যবসায়ী মতিয়ারকে যথাসময়ে হাটে না পেয়ে তার ব্যবসায়িক অংশীদার মইন উদ্দীন শেখ ফোন করেন। একপর্যায়ে ফোনে না পেয়ে তাকে ডাকতে তার বাড়ির পথে রওনা হওয়ার পর সেই মেহগনি বাগানের কাছে ফোনের শব্দ শুনে মুমূর্ষু ও অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন।
এরপর তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তবে ডাকাত চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাবসায়ী মতিয়ার চিকিৎসা সম্পন্ন করতে পারেননি। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
আমাদের সময়