৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে বগুড়ার সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে গত রোববার মামলা করে।
এসআই আলমগীরের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার শৈলীসবলা গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর ১৯৯৭ সালের ২৪ এপ্রিল ডিএমপির দাঙ্গা দমন বিভাগে কনস্টেবল পদে যোগ দেয়। পদোন্নতির পর ২০১৩ সালের ২১ জুলাই তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় এসআই হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিল। একই বছরের নভেম্বরে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) এসআই পদে যোগ দেয়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিবিতেই কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে সোনাতলা থানায় একই পদে কর্মরত।
দুদক সূত্র জানায়, এসআই আলমগীরের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য তাঁকে দুদক থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। ২৪ নভেম্বর সে নোটিশ গ্রহণ করে। গত বছরের ১৩ জানুয়ারি সে সম্পদ বিবরণী দাখিল করে। সেখানে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ টাকার সম্পদ অর্জনের হিসাব দেয়।
দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চৌধুরী বলেছে, দুদকে দাখিল করা সম্পদ যাচাই ও অনুসন্ধানে নেমে দেখা যায় যে এসআই আলমগীর ১৯৯৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহে খরচ করেছে ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। এতে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৮ টাকা। তাঁর বৈধ আয় ৪৫ লাখ ২ হাজার ৭০১ টাকা। জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের পরিমাণ ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে এসআই আলমগীর দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪–এর ৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত এসআই আলমগীর কল কেটে দেয়।
উল্লেখ্য পুলিশ বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যের বিরুদ্ধেই নানা অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম আলো