কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন—এমন এক ব্যক্তির শরীরেও ফের করোনা শনাক্ত হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত ১২ জনের একটি তালিকা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে এখানে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
গত মঙ্গলবার ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে উপজেলার ১০৬ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ জনের শরীরে। অথচ এক মাস আগেও বেশির ভাগ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা থাকত শূন্য। নমুনা দিতে আসা লোকজনের সংখ্যাও ছিল খুবই কম।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে গণটিকা গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ভৈরবে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭ হাজার ৮৬১ জন। আর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৫ হাজার ৪৬১ জন। ভৈরবে টিকাকেন্দ্র করা হয়েছে স্থানীয় ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে। আক্রান্ত ১২ জনের সবাই ওই কেন্দ্রে থেকে টিকা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, টিকা নেওয়ার পর মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শামিম আহমেদ (৬৭)। তিনি পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শামীম আহমেদ টিকা নেন ৮ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা যায়। ওই দিনই তিনি কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন ওই হাসপাতালে তিনি মারা যান। প্রথম আলো