ভারতের উত্তর প্রদেশের আবদুল সামাদ নামের এক বৃদ্ধ নামাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তখন রাস্তা থেকে কয়েকজন হিন্দু যুবক তাকে নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মাধরর করা হয় এই মুসলিম বৃদ্ধকে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ ’বন্দে মাতারম’বলতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এ কারণে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানো হয় তাকে। শুধু তাই নয়, এখানেই থামেনি তাদের নিপীড়ন। ওই মুসলিম বৃদ্ধের দাঁড়িও কেটে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
গত শনিবার (৫ জুন) উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনিতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, ওই মুসলিম বৃদ্ধকে মসজিদ থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের কাছে একটি ঝুপড়িতে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর সেখানেই চলে অত্যাচার। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই মুসলিম বৃদ্ধ হাতজোড় করে কাকুতি মিনতি করছেন। এরপরেও রেহাই মিলছে না সন্ত্রাসীদের হাত থেকে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দু’জন আক্রমণ করেছে তাঁর ওপর। একজনের পরনে নীল টিশার্ট, ধূসর প্যান্ট, অন্য জন লাল প্যান্ট, কালো শার্ট। মূল আক্রমণকারীর নাম মালাউন প্রবেশ কুমার।
আবদুল সামাদ বলেন, ‘লাল টিশার্ট পরা এক যুবক তার গলায় ছুড়ি রেখে “জয় শ্রীরাম” বলতে বাধ্য করে। তিনি ওই ধ্বনি দিতে অস্বীকার করলে দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমন কী তাকে পাকিস্তানি চর বলেও কটাক্ষ করে ওই যুবকেরা।’
ওই ঘটনার আতঙ্ক এখনো কাটেনি আবদুল সামাদের। আতঙ্কিত ওই প্রৌঢ় কাঁপা কাঁপা গলায় তার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলেন, ‘অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই অটোতে আরও দুই যুবকও ওঠেন। তারা আমাকে জোর জবরদস্তি করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারধর করে। জোর করে স্লোগান বলতে বাধ্য করা হয়। দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমন কী ওই যুবকেরা আমাকে বলেছিল, তারা এর আগেও একাধিক মুসলিমকে মারধর করেছে। খুন করতেও ভয় পায় না তারা।’