বছর না পার হতেই জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলায় ঘরহীন মানুষের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরে বিরাটাকার ফাটল তৈরি হয়েছে। ।
পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি রেলস্টেশন থেকে অর্ধ কিলোমিটার পশ্চিমে অগ্রসর হলেই চোখে পড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বেশ কিছু ঘর। দূর থেকে ঘরগুলো মনোরম এবং সুদৃশ্য মনে হলেও কাছে গেলেই দৃশ্যমান হবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহহীন লোকদের দুর্ভোগের নানা চিত্র।
প্রকল্পের প্রায় প্রতিটি ঘরেই কিছু না কিছু ফাটল দেখা যাবে; যা ঘর তৈরিতে অবহেলা এবং লাগামহীন দুর্নীতির প্রমাণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে।
ভুক্তভোগীরা জানান,”চলতি বছরে আমাদের কাছে জমির কাগজপত্রসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হলেও, প্রকল্পের ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও নিরাপত্তার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাছাড়া যাতায়াতের অসুবিধা, বর্ষা মৌসুমে ঘরের অর্ধেক পর্যন্ত পানি ওঠার ভয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
তারা আরো জানান, “আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোতে ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ঘরগুলোতে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘরে উঠতে না উঠতেই এমন ফাটল দেখা দেয়ায় যেকোন সময় ঘরগুলো ভেঙ্গে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ভয়ে আমরা ভীষণ শঙ্কিত আছি।”
প্রকল্পগুলোর নির্মাণে অবহেলা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের দায়ভার অবশ্যই প্রকল্প অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িতদের নিতে হবে বলে প্রকল্পের বাসিন্দারা জানায়।
তবে ভুক্তভোগীদের অনেকেই দাবী করেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত এসব প্রকল্পের নামে সরকারি আমলারা সুকৌশলে জনগণের অর্থ আত্মসাতেই অধিক ব্যস্ত।
তারা অভিযোগ করে বলেন, “ইউএনও স্যার ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা শুধুই সান্তনার বানী মাত্র।”