তালিবান মুজাহিদিনরা তাদের অভূতপূর্ব অগ্রগতির অংশ হিসেবে আজ গজনী প্রদেশের রাজধানী শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
তালিবান মুজাহিদদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গজনী প্রদেশের রাজধানী গজনির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন তাঁরা। রাজধানীর ভেতরে নিজেদের অবস্থানের ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করেছেন মুজাহিদগণ। বীজিত এই শহরটি রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৮০ মাইল দূরে।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে জানান যে, আজ সকালে তালিবান মুজাহিদগণ আফগানিস্তানের দশম প্রাদেশিক রাজধানী গজনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
তালিবানের অপর একজন সামরিক মুখপাত্র ক্বারী মোহাম্মদ ইউসুফ আহমদি হাফিজাহুল্লাহ্ এক টুইট বার্তায় জানান, তালিবান মুজাহিদিনরা আজ সকালে গজনী শহরে প্রবেশ করেছেন এবং তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে গভর্নর কার্যালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনডিএস), কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সামরিক স্থাপনা।
তালিবানরা বলছেন, তারা গজনী শহরে বহু কাবুল সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেছেন এবং মুরতাদ বাহিনী থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ করেছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা তালিবানের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তালিবানরা বৃহস্পতিবার গজনি প্রদেশের রাজধানী গজনী দখল করে নিয়েছে। গজনী শহরের কেন্দ্রে এখন তালিবানদের পতাকা উড়ছে এবং কয়েক ঘণ্টার তীব্র সংঘর্ষের পর যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে।
এদিকে তালিবানদের নিকট কাবুল প্রশাসনের যুদ্ধবাজ গজনী প্রদেশের গভর্নর শান্তিপূর্ণভাবে গজনী শহরের প্রধান কেন্দ্র তালিবানদের কাছে হস্তান্তর করায় তালিবানরা তাদেরকে নিরাপদে কাবুল চলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। যার ফলে শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোন রক্তপাত হয়নি।
পরে গজনীর গভর্নর এবং পুলিশ প্রধান তারা উভয়ই বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে কাবুল দিকে যাত্রা করেছিল। কিন্তু আফগানদের রক্তে তৃষ্ণার্ত পশ্চিমাপন্থী কাবুল সরকার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। ফলে ওয়ার্দাক প্রদেশে মুরতাদ কাবুল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ গজনীর গভর্নর দাউদ লাঘমাণি, তার ডেপুটি, অফিস প্রধান, পুলিশ প্রধান এবং পুরো প্রতিনিধি দলকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গজনির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মধ্যদিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে তালিবানরা আফগানিস্তানের ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ করেছেন।
এর আগে, তালিবানরা নিমরোজ, জাউজান, সার-ই-পুল, কুন্দুজ, তাখার, সামঙ্গান, ফারাহ, বাঘলান এবং বাদাখশান প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
এছাড়াও, বালখ, হেলমান্দ, হেরাত, এবং কান্দাহারের রাজধানীতেও এখন ভয়াবহ সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তালিবানরা ইতিমধ্যে কান্দাহার ও হেরাতের কেন্দ্রীয় কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এরমধ্যে কান্দাহার কারাগার থেকে ১৯০০ জন কারাবন্দী এবং হেরাত কারাগার থেকে ৪ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন তালিবান মুজাহিদগণ।
আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহুম্মা.! লাকাল হামদু কুল্লুহ ওয়া লাকাশ শুকরু কুল্লুহ
সেদিন বেশী দূরে নয়,যেদিন কাবুলের প্রান কেন্দ্রেও কালিমার পতাকা উড়বে…
লিল্লাহি তাকবীর, আল্লাহু আকবার
আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা মুজাহিদ ভাইদেরকে ইস্তিক্বামাত রাখুন, আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আলহামদুলিল্লাহ,
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা চির সত্য
Alhamdulillah
alhamdulillah