সম্প্রতি কাশ্মীরে চারজন সাংবাদিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় মালাউন পুলিশ বাহিনী। অভিযানের পর, সাংবাদিকদের শ্রীনগরের স্থানীয় থানায় তলব করা হয়। সেখানে গ্রেফতারের পর থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযানের কারণ জানায়নি।
গত ২০১৯ সালে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরের শায়ত্ত্বশাসনের অধিকার বাতিল করার পর থেকেই সাংবাদিকদের উপর হিন্দুত্ববাদী ভারতের নিপীড়ন বেড়েছে। মুসলিম দমনের উদ্দেশ্যে রচিত তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তদন্তের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। অসংখ্য সাংবাদিককে গ্রেফতার ও মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিক আল-জাজিরাকে জানায়, ভারতীয় গোয়েন্দা, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযান, হয়রানি এবং জিজ্ঞাসাবাদ কাশ্মীরে একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি সরকার কাশ্মীরে সাংবাদিকতাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন তরুণ সাংবাদিক, যিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাশ্মির বিষয়ে লেখালেখি করেন, তিনি আল জাজিরাকে জানায়, ‘ঘন ঘন অভিযান এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মধ্যে ভয়-ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও জানায়, এখানে সাংবাদিকতা পুরোপুরি অপরাধমূলক। সাংবাদিকরা শুধু নিজেদের জীবন নিয়ে নয়, পরিবারের জন্যও ভীত, কারণ তারাও এখন হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমাদের সবকিছুই এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।’
কাশ্মিরে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘কাশ্মীর প্রেস ক্লাব’ সন্ত্রাসী ভারত সরকারকে তাদের স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বারবার আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। সাংবাদিকদের দাবি তথাকথিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাদের ভীত-সন্ত্রস্ত এবং গণমাধ্যমকে দমিয়ে রাখতে হুমকি এবং অন্যায়ভাবে তলব করছে।
এদিকে, অনেক সাংবাদিক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরব হয়ে পড়েছেন। হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের দমন নিপীড়নে তারা এখন শঙ্কিত।