লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার দু’টি ব্যস্ত সড়ক হল চররমিজ ইউনিয়নের সৈয়দ মৌলভীবাজার-চৌধুরীবাজার সড়ক ও রামগতি বাজার-ছেউয়াখালী সড়ক। সড়ক দুটির মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৪ কিলোমিটার।
উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই দু’টি রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও, সাড়ে ১৪ কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটা জুড়েই কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ভারি যানবাহন তো দূরের কথা, হালকা দু’চাকার যান ও পথচারী চলাচল করাটাই এখন বড় দায় হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সড়ক দুটিতে ভারি জানবাহন চলাচল করে।
মৌলভীবাজার থেকে চৌধুরীবাজার পর্যন্ত নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই কয়েক কিলোমিটার সড়ক ভেঙে যায়। বর্তমানে সেখানে অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে রামগতিবাজার-ছেউয়াখালী সড়কটির ছেউয়াখালী সেতু থেকে সৈয়দ মৌলভী বাজারের পোল পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার কাজ করা হয় ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে। সড়কটি আলাদা জোনের হওয়ায় অবশিষ্ট ৬ কিলোমিটার সড়কের কাজও করা হয়নি তখন। চলতি বছরের প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে রামগতি বাজারের ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে হতাহতের একাধিক ঘটনাও ঘটেছে।
রাস্তাগুলোর এমন দুরাবস্থার কারণে মানুষের জরুরি কাজ যেমন- অসুস্থ রোগী আনা-নেওয়া ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন স্থানীয় বসবাসকারীরা। বর্তমানে এই দুটি সড়ক, এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তবে রাস্তার উন্নয়ন বা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই ।
ঐ দুটি সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ উল্লাহ সেলিম জানান, “রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ, কোন মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। বেহাল রাস্তায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে। আমাদের প্রতিদিন কাদা-পানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। এমনকি মোটরসাইকেলও চালানো যাচ্ছেনা।” সূত্র: ইনকিলাম
সারা দেশ জুড়ে সড়ক-মহাসড়কের এমন বেহাল দশা দালাল হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ফাঁপা বুলির বাস্তবতাকে জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ারে এসব রাস্তা ভেসে চলে গেছে বলে ব্যঙ্গ করছেন অনেকে।