ভোলার তজুমদ্দিনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় হচ্ছে না ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ক্লাস। ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মুসলিম হওয়ায় প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ থেকে।
সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর স্কুলটিতে কোনো মুসলিম শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। যে কারণে ওই বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বেশিরভাগ মুসলিম শিক্ষার্থীই ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বর্তমানে স্কুলটিতে অধ্যয়নরত ১৮৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২৪ জনই মুসলিম। কর্মরত পাঁচজন শিক্ষকের সবাই হিন্দু।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী নিজুম আক্তার নুহা, পলি আক্তার ও হাফসা আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষক ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ক্লাস হয় না। তাই ইসলাম ও নৈতিক বিষয় শিক্ষার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ে একজন হলেও মুসলিম শিক্ষক দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রাসেল বলেন, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধর্মীয় শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ৯০% মুসলিমের দেশে বেশির ভাগ মুসলিম শিক্ষার্থী হওয়ার পরও ৩২ বছরে একজনও মুসলিম শিক্ষক নিযোগ দেওয়া হয়নি। এটা কি মুসলিম দেশে হিন্দুত্ববাদিদের আধিপত্য সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া নয়! এটা কি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা! সরকারী চাকরীর অধিকাংশ পদেই হিন্দুদের দখলে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষকই থাকে হিন্দু। নামে মাত্র ইসলাম শিক্ষার বিষয় থাকলেও ক্লাস করার বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
এভাবেই মুসলিম প্রজন্মকে ইসলাম শিক্ষা থেকে কৌশলে বিরত রেখে নাস্তিক ও ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ করে দিচ্ছে।