ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশে শিয়া নেতা আবদুল আলি মাজারির মূর্তি ভেঙে তার জায়গায় একটি কোরআনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছে দেশটির নবগঠিত ইসলামিক সরকার।
আঞ্চলিক সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৯০-এর দশকে গৃহযুদ্ধের সময় বামিয়ানে ইরান-সমর্থিত যুদ্ধবাজ শিয়া নেতা মাজারির মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল। ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেটি ধ্বংস করেছিলেন তালিবানরা। এরপর ২০০১ সালে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী দেশটিতে আগ্রাসন চালালে সেখানে আবারো মূর্তিটি তৈরি করে শিয়ারা।
এদিকে আফগানিস্তানে তালিবান প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দীর্ঘ লড়ায়ের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন ক্রুসেডার বাহিনী আফগান ট্যাগ করলে আবারো ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠা করেন লালিবান। ইমারত প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মাথায় তালিবান মুজাহিদগণ আবারো বামিয়ানে তৈরি করা সেই শিয়া নেতার নিকৃষ্ট মূর্তিটি ভেঙে ফেললেন।
তবে যেই স্থাপনার উপরে মূর্তিটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটি না ভেঙে শিয়া নেতার মূর্তির জায়গায় একটি কোরআনের প্রতিকৃতি তৈরি করেন নবগঠিত তালিবান সরকার।
আব্দুল আলী মাজারি ছিল ১৯৪৬ সালে মেজার-ই শরীফের কারকেন্ট গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এক হাজারা কুখ্যাত শিয়া নেতা।
১৯৮৭ সালে ইরানের সহায়তায় আফগানিস্তানের ৭টি শিয়া মিলিশিয়া একত্রিত হয়ে “তেহরান আর্ট” নামে নতুন দল ঘোষণা করে। ১৯৮৯ সালে এটি হিজবে ওয়াহদাত নামে নতুন করে সংগঠিত হয়।
ইরানের পরামর্শে তখন আবদুল আলী মাজারীকে এই দলের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নেতা নিযুক্ত করা হয়। এরপর ইরানেরর সমর্থন আর সহায়তায় হিজবে ওয়াহদাত ১৯৯৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানদের বীরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
মাজারির নেতৃত্বাধীন এই শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপটি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক সুন্নি বেসামরিক মুসলিমের গণহত্যার জন্য দায়ী। এই শিয়া সন্ত্রাসী নেতা নিজে খুব গর্বের সাথেই পশতুন বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি বলে বেড়াতো।
১৯৯৫ সালের মার্চ মাসের শুরুর দিকে তালিবান মুজাহিদগণ কুখ্যাত এই শিয়া নেতা মাজারিকে বন্দী করেন। এরপর ১৩ মার্চ শিয়া মিলিশিয়ারা তালিবানদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদদের সাথে তীব্র সংঘর্ষ হয় শিয়াদের। অবশেষ শিয়ারা পরাস্ত হয় এবং মুজাহিদরা মাজারিকে আবারো বন্দী করেন। আর সংঘর্ষের ময়দানেই মুজাহিদরা সেদিন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
প্রীয় ভাই, ৩য় অনুচ্ছেদের বানান
আলহামদুলিল্লাহ