ফিলিস্তিন ইস্যুতে বরাবরই মানবতার খোলস ঝেড়ে ফেলে দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে অকুন্ঠ সমর্থণ দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা ক্রুসেডার দেশগুলো। ফিলিস্তিন তথা মুসলিম ইস্যুতে যে তাদের মানবাধিকার শুধু ফাকা বুলি, এটি আবারো স্পষ্টভাবে প্রমাণ করলো নব নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
সম্প্রতি বার্মিংহামে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় সে নিজেকে একজন কট্টর জায়নবাদী (ইহুদিবাদী) এবং ইসরাইলের বিশাল সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেছে, পাশাপাশি যুক্তরাজ্য-ইসরাইল সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সে আরও বলেছে, ‘এই বিশ্বে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এখন হুমকির মুখোমুখি। অনেকেই এখন এগুলোতে বিশ্বাস করে না। যুক্তরাজ্য এবং ইসরাইলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং ভবিষ্যতে আমরা আরও কাছাকাছি থাকতে চাই। আমি ইসরাইলে ব্রিটিশ দূতাবাসের অবস্থানের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা বুঝতে পারি। আমি এই বিষয়ে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের সাথে অনেক কথা বলেছি।’
এছাড়াও গত দুই মাস আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইসরাইলকে উদ্যেশ্য করে সে বলেছিল, ‘যুক্তরাজ্যের একটি মাত্র রাজধানী আছে, আর তা হলো লন্ডন। এবং ইসরাইলেরও শুধু একটি রাজধানীই আছে, আর তা হলো জেরুজালেম।’
তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী পশ্চিমারা ফিলিস্তিনের রাজধানীকে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী বলে ঘোষণা দেয়ার পরও তারাই শান্তিবাদী! আর মুসলিমরা নিজেদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করলে তাদেরকেই ট্যাগ দেওয়া হয় ‘সন্ত্রাসী’। মুসলিমদেরকে তাই সবার আগে নিজেদের শত্রু-মিত্র স্পষ্ট করে চিহ্নিত করে তা মনে গেঁথে নিতে হবে। এবং নিজেদের ও শত্রুদের ব্যাপারে আরও স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। – এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. UK’s Liz Truss: ‘I’m a huge Zionist and huge supporter of Israel’-
– https://tinyurl.com/2s32w58j