সম্প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ৩টি প্রদেশের ১০ হাজারেরও বেশি দরিদ্র পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, আফগানিস্তানের জাবুল, বালখ এবং সামাঙ্গান প্রদেশের কালাত সিটি, মারমাল, চাহারকান্ত এবং হযরত সুলতান জেলায় এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইমারাতে ইসলামিয়ার গ্রাম-উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সাহায্য পাওয়ার যোগ্য প্রতিটি পরিবারকে ৫০ কেজি আটা, ৪.৫ লিটার তেল, ৬.২৫ কেজি ছোলাসহ আরও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বস্তু দেওয়া হয়েছে।
যদি বাংলাদেশের সাথে একটু তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে, শুধু আটা, তেল ও ছোলার বর্তমান বাজার দর হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে প্রায় ৫০০০টাকা সমপরিমাণ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বিদেশী আগ্রাসনের শিকার, ভয়াবহ যুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি না পাওয়া একটি দেশের প্রশাসন ঠিকই গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারছে। কিন্তু এদেশের প্রশাসন বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে ফেলার দাবী করলেও গরীব মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপরন্তু এই গরীব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কত, দরিদ্র ব্যক্তির সংখ্যা কতো তা প্রশাসন করতে অনীহা প্রকাশ করছে কয়েক বছর যাবত। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী যে দারিদ্র্যের হার উল্লেখ করেছিলেন তা ৩/৪ বছর আগের তথ্য, বা সহজ কথায় করোনা ভাইরাস প্রকোপের আগের তথ্য। অর্থাৎ করোনার কারণে দেশের অসংখ্য মানুষ যে দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে গেছেন তা সরকার প্রকাশ করতে চায় না।
বণিকবার্তার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০১৬ সালের পর এ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।’
সুতরাং, বাংলাদেশের তথাকথিত গণতান্ত্রিক প্রশাসন দেশের দরিদ্রদের ভাগ্য ও সার্বিক উন্নয়নে কতোটা আন্তরিক তা খুব সহজেই অনুভব করা যায়।