পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে রাশিয়ান ওয়াগনার বাহিনীর একটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার যোদ্ধারা। আল-কায়াদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা সংশ্লিষ্ট মুজাহিদদের অন্য অভিযানে দেশটির ৬৭ সৈন্য হতাহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই দুপুরে মালির রাজধানী বামাকো থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দূরের মাসিনা অঞ্চলে ভূমি থেকে আঘাত করে সামরিক হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত করা হয়েছে। সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে, বিধ্বস্ত হওয়া সামরিক হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর ছিল। ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটি ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের বহন করছিল। তবে হেলিকপ্টারটিতে এসময় কতজন ওয়াগনার সদস্য ছিল তা জানা যায়নি।
আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকান শাখা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এক বার্তায় এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে।
গত জুন মাসেও ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও ২টি পৃথক অভিযান পরিচালনার তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রতিরোধ বাহিনীটি। তবে এসব অভিযানে কত ওয়াগনার সৈন্য নিহত হয়েছে তা জানা যায় নি।
স্থানীয় সূত্রমতে, এই অভিযানগুলো ছাড়াও আল-কায়েদা যোদ্ধারা গত জুন মাসে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ১৬টি অভিযান পরিচালনা করছেন। প্রতিরোধ বাহিনীটি ৮টি পৃথক বিবৃতিতে এসব অভিযানের ১১টির তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর এসকল অভিযানে জাতিসংঘের ৯ সৈন্য সহ মালিয়ান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৬৭ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
জেএনআইএম যোদ্ধারা এসব অভিযান শেষে সামরিক বাহিনী থেকে জব্দ করেছেন ৪টি গাড়ি, ১৪টি মোটরসাইকেল, ১টি পিকা, ৩৪টি ক্লাশিনকোভ, ১টি আরপিজি, ৩টি দোশকা ও ৩টি পিস্তল সহ প্রচুর পরিমাণে গুলাবারুদ।
উল্লেখ্য, জেএনআইএম একদিকে যখন তাদের অপারেশনের পরিধি বিস্তৃত করছে, অন্যদিকে ফ্রান্স এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের দেখানো পথে জাতিসংঘও মালিতে তাদের কথিত শান্তি মিশন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা সৈন্য প্রত্যাহার শুরুও করে দিয়েছে দেশটি থেকে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ান ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারও অদূর ভবিষ্যতে একই পথে হাঁটবে।