পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় চলমান যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে গত মঙ্গলবারেও শাবাবের কয়েকটি অভিযানে ৪ দখলদার সৈন্য সহ অন্তত ৭০ সোমালি সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন, গত ২২ আগস্ট মঙ্গলবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু সহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে অন্তত ৮টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন।
এরমধ্যে সবচাইতে বৃহৎ অভিযানটি পরিচালনা করা হয় এদিন সকালে, রাজধানী মোগাদিশুর আল-মাসিনা শহরে অবস্থিত একটি সেনা সদরদপ্তর লক্ষ্যবস্তু করে। সূত্র জানায়, সংযুক্ত আরব-আমিরাত সমর্থিত সোমালি বাহিনীর সদর দপ্তরে লক্ষ্যবস্তু করে একটি শহিদী আক্রমণের মাধ্যমে অভিযানটি চালানো হয়। শাহাদাহ এজেন্সির সূত্রমতে, হারাকাতুশ শাবাবের একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ কর্তৃক পরিচালিত এই শহিদী অভিযানে সোমালি সরকারি কর্মকর্তা ও সেনা অফিসার সহ অন্তত ২৩ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন সৈন্য।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযানে আহত সেনা সংখ্যা ২৫ জন ছাড়িয়েছে। শাবাবের এই অভিযানে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়া ছাড়াও সেনাদপ্তরটিও ধ্বংস হয়েছে।
শাবাব মুজাহিদিন এদিন তাদের দ্বিতীয় বৃহৎ অভিযানটি পরিচালনা করছেন জালাজদুদ রাজ্যের ওয়াভো শহরে। অভিযানটি সোমালি সরকারের বিশেষ বাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে পরপর ৩টি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ বাহিনীর অন্তত ১৩ সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
একই রাজ্যের গালাদ শহরেও এদিন হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা একটি সামরিক কনভয় লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছেন। এতে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৬ সদস্য হতাহত হয়েছে। এসময় মুজাহিদদের স্থাপন করা ২টি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় পলায়নরত আরও কতক সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মাঝে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
অপরদিকে রাজধানী মোগাদিশুর উত্তরে, হাওয়াদলি শহরে দখলদার বুরুন্ডিয়ান সৈন্যদের একটি টহল দলকে লক্ষ্যবস্তু করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে ৩ বুরুন্ডিয়ান সৈন্য নিহত এবং অপর এক সৈন্য আহত হয়।
এটি লক্ষণীয় যে, একদিকে যখন সোমালি সরকার শাবাব নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিচ্ছে, অপরদিকে আশ-শাবাব তখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে সরকারি বাহিনী ও তাদের বিদেশি মিত্রদের উপর বড় পরিসরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় পরিসরের অভিযান শুরু করার আগেই আশ-শাবাব পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকারকে দুর্বল করে দেওয়ার কৌশল বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলেই ইঙ্গিত করছে পরিস্থিতি।