ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৩

- সাইফুল ইসলাম

0
338

ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, গাজার ৪০% ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গাজায় বোমা হামলার পাশাপাশি দখলদার ইসরায়েল সিরিয়ার আলেপ্পো এবং দক্ষিণ লেবাননেও বিমান হামলা করেছে।

সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু বলেছে, গাজা-মিশর সীমান্ত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত!

সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জায়োনিস্টদের বোমা হামলায় গাজার ৭০% বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সংস্থা জানিয়েছে, গত কিছুদিনে ১ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার সর্ব দক্ষিণের রাফাহ এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এক মাসে দ্বিতীয়বারের ‘জরুরি’ অস্ত্র বিক্রি করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দিয়েছে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত অন্তত ২১,৬৭২ জন ফিলিস্তিনি।

৩০শে ডিসেম্বর দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

আল-কাসসাম ব্রিগেড:

বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর ১৫টি মারকাভা ট্যাংক ও ২টি এপিসি আংশিকভাবে ধ্বংস করেছেন।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পে ইয়াসিন-১০৫ গোলা দিয়ে জায়োনিস্ট সৈন্যভর্তি একটি এপিসি ধ্বংস করেছেন।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পের উত্তরে একটি মারকাভা ট্যাংকে টার্গেট করে ‘শোওয়াজ’ নামে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত করেছেন।
গাজা শহরের শেখ রেদওয়ান এলাকায় দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে ২০ এর অধিক জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক যান ও সৈন্যদের উপর মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
খান ইউনিসে একটি সুরক্ষিত ভবনে অবস্থান নেওয়া দখলদার সৈন্যদের উপর বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত করা হয়েছে।
শেখ আজলিন এলাকায় টিবিজি দিয়ে একটি ভবনে থাকা দখলদার বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছে।
শেখ আজলিনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এম৯৯ স্নাইপার রাইফেল দিয়ে এক জায়োনিস্ট সৈন্যকে টার্গেট করা হয়েছে।
রাফাহ এর পূর্বে দখলদার বাহিনীর সৈন্য ও সামরিক যানের উপর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার হামলা চালানো হয়েছে।
শেখ আজলিন এলাকায় দখলদার বাহিনীর দুটি সামরিক জিপকে বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে টার্গেট করা হয়েছে এবং দখলদার সৈন্যদের সাথে মেশিনগান ব্যবহার করা যুদ্ধ করা হয়েছে। এতে শত্রুসেনারা হতাহতের শিকার হয়েছে।
মর্টার দিয়ে খোজাআর পূর্বাঞ্চলে দখলদার সামরিক কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
আল-তুফফাহ ও আল-দারাজ এলাকায় একটি ভবনে অবস্থান নেওয়া দখলদার বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।

আল-কুদস ব্রিগেড:

আল-তুফফাহ ও আল-দারাজ এলাকায় ২টি মারকাভা ট্যাংক ও ১টি এপিসি ধ্বংস করেছেন।
খান ইউনিসের বনী সুহাইলা এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর ৬০মিমি মর্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি সামরিক যান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
খান ইউনিসের স্ট্রিট ৫ এর আশপাশে, আবসান এলাকায়, রাফাহ এবং দেইর আল-বালাহতে দখলদার বাহিনীর অবস্থানে ৬০ মিমি মর্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছেন।

আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:

খান ইউনিসের কেন্দ্রে আরপিজি দিয়ে দখলদার বাহিনীর সামরিক যানে হামলা চালিয়েছেন।
আল-বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্বে তানদেম রকেট দিয়ে একটি এপিসির উপর আক্রমণ করেছেন।

শহীদ উমার আল-কাসেম বাহিনী:
খান ইউনিসের কেন্দ্রে দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এতে শত্রুসেনারা নিহত ও আহত হয়েছে।
খুজাআতে দখলদার বাহিনীর সামরিক যানে কয়েকটি মর্টার দিয়ে সরাসরি আঘাত হেনেছেন।

নাসের সালাহ আল-দ্বীন বিগ্রেড:

খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাংকে তানদেম রকেট দিয়ে সরাসরি আঘাত হেনেছেন।

আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:

খান ইউনিস ও আল-তুফফাহ এলাকায় শত্রুদের একটি ডি৯-বুলডোজার এবং একটি মারকাভা ট্যাংকে তানদেম ও আরপিজি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন।
খুজাআর পূর্বে দখলদার সৈন্যদের উপর ১২০মিমি ক্যালিবার মর্টার নিক্ষেপ করেছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়াল
পরবর্তী নিবন্ধআল-কাস্‌সাম ব্রিগেডের অভিযান|| মুজাহিদদের আক্রমণে জায়নিস্ট দখলদারদের সামরিক যান ও আস্তানা ধ্বংস