ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট- ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

- সাইফুল ইসলাম

0
237

সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষুধায় ভুগছে, আহতরা রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে। খাবার নেই সেখানে, চিকিৎসা পাবার সুযোগও নেই। জাতিসংঘ বলছে, এমন অবস্থাতেও মানবিক সাহায্য পাঠানোর ৭০% আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে দখলদার জায়োনিস্ট ইসরায়েল।

হোয়াইট হাউজ বলছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি! অথচ ইসরায়েল যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে, তার শত শত প্রমাণ প্রকাশ্যে বিদ্যমান।

সপ্তাহখানেক টেলিযোগাযোগ বন্ধ থাকার পর গাজায় আবারও ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সার্ভিস ফিরছে বলে ঘোষণা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পালটেল।

ফিলিস্তিনি বন্দীদের উপর অপমান-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে সন্ত্রাসী জায়োনিস্ট বাহিনী।

জর্ডানিয়ান সেনাবাহিনী বলেছে, দখলদার ইসরায়েলের সাথে পূর্বে সমন্বয়মূলক কার্যক্রম চালানো সত্ত্বেও গাজার একটি ফিল্ড হাসপাতালে বার বার হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

কূটনীতিক চুক্তি না হলে দক্ষিণ লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘শক্তি প্রয়োগ’ করবে বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি মন্ত্রী ইয়্যুব গালান্ট।

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৪,৭৬২ জন ফিলিস্তিনি।

ইয়েমেনে নতুন করে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদী যুক্তরাষ্ট্র।

খান ইউনিসে কাসসাম ঘুল রাইফেল দিয়ে দুই জায়োনিস্ট সৈন্যকে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদগণ।

যুদ্ধ থেকে ঘাঁটিতে ফিরে এসে আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদগণ জানিয়েছেন, খান ইউনিসের পূর্বে দুই সৈন্যসহ একটি জায়োনিস্ট মারকাভা ট্যাংককে ‘আল-ইয়াসিন ১০৫’ দিয়ে হামলা করেছেন মুজাহিদগণ। এতে দুই সৈন্য নিহত হয়েছে এবং ট্যাংকটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। একটি জায়োনিস্ট হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের স্থানান্তর করতে দেখা গেছে।

খান ইউনিসের পূর্বে শাবাজ দিয়ে ৩টি জায়োনিস্ট মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেড।

গাজা শহরের আল-জায়তুন এলাকার দক্ষিণে আরপিজি গোলা দিয়ে একটি জায়োনিস্ট সামরিক যানে আঘাত করেছেন মুজাহিদগণ।

আল-জায়তুন এলাকার দক্ষিণে একটি ভবনের ভেতরে অবস্থান নেওয়া স্পেশাল জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর দুর্গবিধ্বংসী টিবিজি গোলা দিয়ে হামলা করেছেন মুজাহিদগণ। এতে দখলদার সৈন্যরা হতাহত হয়েছে। একটি ট্যাংক হতাহতদের শত্রুদের উদ্ধারে আসলে ট্যাংকটিকে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে হামলা করা হয়েছে।

শেখ রেদওয়ান এলাকায় একটি ভবনে থাকা দখলদার সৈন্যদের উপর অ্যান্টি-পার্সনেল মিসাইল দিয়ে আঘাত করেছেন মুজাহিদগণ। ভবনের কাছাকাছি এক শত্রুসেনাকে সরাসরি গুলি করেছেন। এতে শত্রুসৈন্যটি আহত হয়েছে।

গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ভবনে অবস্থান নেওয়া দখলদার বাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের উপর ৪টি আরপিজি গোলা দিয়ে হামলা করেছেন মুজাহিদগণ। এরপর তাদের সাথে মেশিনগান দিয়ে যুদ্ধ করেছেন।

গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি জায়োনিস্ট ট্যাংককে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে টার্গেট করেছেন মুজাহিদগণ।

বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের উত্তরপূর্বে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে দখলদার বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাংকে হামলা করা হয়েছে। এছাড়া এক দখলদার সৈন্যকে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন। মর্টার হামলা করে ধ্বংস করেছেন শত্রুবাহিনীর সমাবেশকে।

উত্তর গাজার জাবালিয়ার পূর্বে আল-সালাম এলাকায় দখলদার বাহিনীর উপর অ্যান্টি-পার্সনেল রাআদিয়া বিস্ফোরক দিয়ে হামলা করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেড। এছাড়া, তাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন মুজাহিদগণ। আরেকটি জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর শাবাজ ডিভাইস দিয়ে হামলা করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেড। এতে শত্রুবাহিনীর কতিপয় সদস্য হতাহত হয়েছে।

গাজা শহরের দক্ষিণপশ্চিমে শেখ আজলিন এলাকায় জায়োনিস্ট সৈন্যকে স্নাইপার হামলা শিকার বানিয়েছেন মুজাহিদগণ।

গাজা শহরের আল-তুফফাহ এলাকায় এক স্পেশাল জায়োনিস্ট বাহিনীকে টানেলের মুখ পর্যন্ত প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসেন মুজাহিদগণ। এরপর বিস্ফোরণ ঘটালে শত্রুসেনাদের অনেকে হতাহত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় দৈনিক মৃত্যুহার ২১ শতকের যেকোনো সংঘাতকে ছাড়িয়ে গেছে
পরবর্তী নিবন্ধআদাম ইয়াহইয়া গাদান – আমেরিকার বুকে ক্রুসেডের মৃত্যুদূত