বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে নেমে কালো রংয়ের গাড়িতে উঠছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারাহুড়া করে হেলিকপ্টার থেকে গাড়িতে উঠার সময়ও তাদের সাথে ছিল স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফ সদস্যরা।
কিন্তু হেলিকপ্টারে নয় বিমান বাহিনীর একটি ট্রান্সপোর্ট উড়োজাহাজে দেশত্যাগ করে শেখ হাসিনা। আর বঙ্গভবনে নয়, গণভবনেই পদত্যাগ পত্রে সই করে।
এসময় শেখ হাসিনা একটি ভিডিও বক্তব্য রেকর্ড করার সময় চেয়েছিলো। কিন্তু পরিস্থিতি এতোটাই উতপ্ত ছিল যে, শারিরীক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় সেই সময় দেয়া হয়নি শেখ হাসিনাকে।
এরপর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট বিকেলে গণভবন থেকে হেলিকপ্টারযোগে কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে যাত্রা করেন। একই বিমান ঘাঁটি থেকে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-ওয়ান থার্টি-জে পরিবহন বিমানে ফ্লাইট নং AJAX 1431 করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে বিমানটি ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
যদিও এই উড়োজাহাজে করে দেশ ত্যাগের পর প্রথমে আগরতলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যেতে চাইলেও অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে নয়াদিল্লির দিকে রওনা দেয় উড়োজাহাজটি। এখন সেখানে গোপন একটি হাউসে রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে।
এদিকে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশ ছাড়ার পর গণভবনে ঢুকে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মিছিল নিয়ে গণভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার পরে তাঁরা গণভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
গণভবনের মাঠে তাঁদের হাত উঁচু করে উল্লাস করতে দেখা গেছে। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের অনেককে গণভবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।