প্রশাসনের ‘ঢিলেঢালা’ নজরদারির কারণে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে নির্বিচারে পাথর লুট চলছে। কোয়ারিসংলগ্ন নদ–নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। এতে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতার পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনের তথ্যমতে, সরকার পতনের পর দুই সপ্তাহে দুটি কোয়ারি থেকে অন্তত ১৪০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। দুটি কোয়ারি থেকে এখনো রাতের বেলা পাথর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দিনে প্রকাশ্যে বালু লুট চলছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। এর পর থেকে রাতের আঁধারে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জাফলংয়ের দুজন বাসিন্দা জানান, পটপরিবর্তনের আগে মানুষ আড়ালে-আবডালে বালু তুলত। ৫ আগস্টের পর প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চলছে। মাঝেমধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান চললে লুটপাটকারীরা সটকে পড়ে। অভিযানকারীরা চলে গেলে আবার লুটপাট শুরু হয়। দিনের বেলা পাথর উত্তোলন কম হলেও রাতে অবাধে চলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর প্রথম দুই দিন জাফলং ও ভোলাগঞ্জে পাথর লুটপাটে স্থানীয় অনেকে জড়িত ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এখন বিএনপির ওই নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কোয়ারিতে পাথর ও বালু লুটপাট করছে একটি চক্র। তারা বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই লুটপাট চালাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
জাফলংয়ে বালু-পাথর লুটপাটে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, উপজেলা বিএনপির ক্ষুদ্রঋণ ও সমবায় সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতার নাম আলোচনায় আছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১. সিলেটে দিনে বালু, রাতে পাথর লুট, নেপথ্যে বিএনপি নেতারা
– https://tinyurl.com/bdh74zkx