তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর উপর হামলার একটি ইনফোগ্রাফি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিটিপির মুজাহিদিনরা গত মাসে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার উপর ১১০টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা এই অভিযানগুলোর মধ্যে খাইবার পুখতুনখাওয়ার ১৪টি জেলায় ১০৪টি, পাঞ্জাবে ৪টি এবং বেলুচিস্তানে ২টি অপারেশন পরিচালনা করেছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ১৮৪টি অপারেশন থেকে কম হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জানুয়ারিতে টিটিপির পরিচালিত রেকর্ড করা এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলার রিপোর্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাথে সরাসরি জড়িত এমন ১০ সদস্যকে বন্দী করেছেন। আর মুজাহিদদের হামলায় হতাহত হয়েছে সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৫৫ সদস্য, যাদের মধ্যে নিহত ৭৬ জন এবং আহত ৮০ জন। অভিযানগুলোতে হতাহতদের মধ্যে সেনা সদস্য রয়েছে ৭৩ জন, এফসি সদস্য রয়েছে ৪৮ জন, পুলিশ/সিটিডি সদস্য রয়েছে ৩১ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জড়িত সদস্য রয়েছে ৩ জন।
জানুয়ারিতে মুজাহিদিনরা সর্বাধিক হামলা চালিয়েছেন ট্যাঙ্ক এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে। প্রদেশ দুটিতে মুজাহিদিনরা ১৭টি করে মোট ৩৪টি হামলা চালিয়েছেন। এরপর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, ডেরা ইসমাইল খান, খাইবার এবং বান্নু প্রদেশে ১৩টি করে মোট ৫২টি হামলা চালানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের আক্রমণের ধরণগুলির মধ্যে রয়েছে ১টি ইস্তেশহাদী হামলা, ৪৬টি লেজার আক্রমণ, ২৮টি গেরিলা আক্রমণ, ১০টি অতর্কিত আক্রমণ, ১০টি পাল্টা আক্রমণ, ০৬টি অ্যাম্বুশ, ৫টি গ্রেনেড হামলা এবং ৪টি আক্রমণাত্মক অপারেশন।
টিটিপি নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদিনরা এসকল অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৩০টি সৌর প্যানেল, ১৭টি নজরদারি ক্যামেরা, ৮টি সামরিক যান, ১টি ট্যাঙ্কার এবং ১টি ড্রোন ক্যামেরা ধ্বংস করেছেন।
এছাড়াও, মুজাহিদিনরা উপরোক্ত অভিযানের মাধ্যমে ১৩টি ক্লাশিনকোভ, ১৬টি অ্যাসল্ট রাইফেল, ২টি রেডিও, ১টি গাড়ি, ১টি মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে পেয়েছেন।