ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা নেওয়ার ঘোঘণার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ মানুষ। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে ‘প্যালেস্টাইন ইজ নট ফর সেল’ বলে স্লোগান দেন। খবর আলজাজিরার।
৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউস সফরের প্রতিবাদ করেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দেন এবং ইসরায়েলি নৃশংসতার নিন্দা করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন মাইকেল শির্টজার বলেন, ‘আমেরিকানরা চায় না যে তাদের করের টাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য ব্যবহার করা হোক।’ গাজায় জাতিগত নির্মূলে ট্রাম্পের প্রস্তাবকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন শির্টজার।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষ কোথাও যাবে না। তারা সেই দেশের আদিবাসী। মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার কথা বলা উপনিবেশবাদী মানসিকতা।’
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকা দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিক হবে।’ ৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিজা ও এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর পরই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে বাসিন্দাদের অন্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিল ট্রাম্প। এবার সে স্পষ্টই বলল, ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা। বাসিন্দাদের এখন এলাকা ত্যাগ করা উচিত।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে ট্রাম্প। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে নেতানিয়াহু।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলা হয়, ‘ট্রাম্প আগেই বলেছিল, সে মনে করে না, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো স্থায়ী ভবিষ্যত আছে। এবার এ নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা দিল সে।’
তথ্যসূত্র:
1. As Trump meets Netanyahu, protesters chant: ‘Palestine is not for sale’
– https://tinyurl.com/4m64hpsx