![image copy](https://alfirdaws.org/wp-content/uploads/2025/02/image-copy.webp)
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত একুশে বইমেলায় সব্যসাচী প্রকাশনী নামক একটি স্টল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী লেখিকা ও খুনি হাসিনা ও তার আওয়ামী প্রশাসনের জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সমর্থক তসলিমা নাসরিনের একটি বই বিক্রি করে আসছিল। সচেতন তরুণ নাগরিকরা এটি জানতে পেরে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন।
এর প্রেক্ষিতে বই মেলার মাঠের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক মেহরান সানজানাকে তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু মেহরান সানজানা নিজের অপরাধকে আড়াল করতে ফেসবুকে মতলবি প্রচারণা চালায় যে, ‘সব্যসাচী প্রকাশনীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে’। সে স্টল থেকে তসলিমা নাসরিনের বইও সরায়নি।
ফলে ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকজন ছাত্র একুশে বইমেলায় গিয়ে দেখতে পায় সব্যসাচী প্রকাশনী তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করছে। তখন তারা জিজ্ঞেস করেন, ‘একজন স্বঘোষিত নাস্তিক ও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিরোধিতাকারী, নিয়মিত শহীদ ও উপদেষ্টাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীর বই কেন আপনাদের স্টলে জায়গা পায়?’ এর জবাবে সব্যসাচীর প্রকাশনীর স্টলে থাকা মেহরান সানজানার স্বামী শতাব্দী ভব ছাত্রদেরকে তুই তুকারি সম্বোধন শুরু করে এবং বলে ‘তসলিমার পক্ষে আমি একাই লড়ে যাব’। এক পর্যায়ে সে দুই জন ছাত্রকে কিল ঘুষিও দেয় এবং “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে ছাত্রদের জঙ্গি ও মৌলবাদী সম্বোধন করে। ফলে উপস্থিত ছাত্রজনতা শতাব্দী ভবের ঔদ্ধত্যের জবাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং বিতর্কিত ১২৮ নম্বর স্টল ‘বন্ধ’ রাখে।
এই ঘটনার কোনরূপ তদন্ত হওয়ার আগেই তাৎক্ষণিক এক ফেসবুক বার্তায় ছাত্রজনতার এই প্রতিবাদকে “মবের মহড়া”, “আহমকি”, “উগ্রতা “, “জুলুম ” এবং “রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা” বলে অভিহিত করে তা চলমান অপারেশান ডেভিল হান্ট এর আওতায় দমনের প্রচ্ছন্ন হুমকি প্রদান করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দপ্তরহীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। পরবর্তীতে ছাত্রজনতার চাপের মুখে ব্যাখ্যামূলক বিবৃতিতেও তার এই অবস্থানের ব্যাপারে সাফাই গাইতে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র:
১. https://tinyurl.com/y33y9wvw
২. https://tinyurl.com/yusv2sjm