
আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার চার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ উপলক্ষে ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেদের অর্জনের ওপর আলোকপাত করেছেন।
গত ১৩ আগস্ট কাতারে অবস্থিত ইমারতে ইসলামিয়ার দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুহাইল শাহিন হাফিযাহুল্লাহ জানান, ইমারতে ইসলামিয়ার বিজয় অর্জনের ফলে শত্রুদের রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশের প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই বিজয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইমারতে ইসলামিয়া শুধু সামরিক নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জন করেছে। এই উদ্যোগ আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ইমারতে ইসলামিয়ার সদস্যদের প্রচেষ্টা ও আফগান জনগণের ত্যাগের কারণে বিশ্ব শক্তি ও তাদের মিত্ররা পরাজিত হয়েছে।
এর আগে, ইমারতে ইসলামিয়ার জ্যেষ্ঠ নেতা আনাস হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ দোহা চুক্তিকে আফগানিস্তানে আমেরিকার পরাজয়ের লিখিত স্বীকৃতি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিল, যদিও শুরুতে তারা আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছিল। হাক্কানি জানান, তালিবান পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাইলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির হঠাৎ পলায়ন সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে।
তথ্যসূত্র:
1. Shaheen: Islamic Emirate Has Won Both Military and Political Arenas
– https://tinyurl.com/dapbzsdy


